নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আলোচিত প্রতারক ফরজুন আক্তার মনির জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে আদালতের দেয়া এক দিনের রিমান্ড বহাল রাখা হয়েছে। বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমজাদ হোসেন এই আদেশ প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৭ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতারকৃত প্রতারক ফরজুন আক্তার মনির বিরুদ্ধে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার। পরে মনির আইনজীবী এই আদেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন। বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই রিভিশন এবং মনির জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন এবং নি¤œ আদালতের রিমান্ডের আদেশ বহাল রাখেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট তাজ উদ্দিন সুফিসহ ৭/৮ জন আইনজীবী। আসামীপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক হৃদয়সহ ৭/৮ জন আইনজীবী। পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক এই আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানীকর মিথ্যা স্ট্যাটাস এবং বিভিন্ন ভূয়া একাউন্ট খোলে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় ফরজুন আক্তার মনিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই নারী দীর্ঘদিন যাবত নিজেকে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। তার টার্গেট ছিল- নারী জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা ও স্কুল-কলেজের ছাত্রী। প্রতি রাতেই নারীদের বিভিন্ন অশালীন ম্যাসেজ দিতো সে। এসব ম্যাসেজের স্ক্রীণশর্ট প্রকাশ হওয়ায় মনি নারী না পুরুষ এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রতারক মনির এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে কেউ প্রতিবাদ করলেই মনি তার ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন রকম হুমকি ও মানহানীকর স্ট্যাটাস পোস্ট দিয়ে অপদস্থ করতো।
অভিযোগ রয়েছে- মনি নিজেকে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতো। কিছুদিন পূর্বে একাধিক মানহানিকর স্ট্যাটাস দিলে নবীগঞ্জের সংবাদিক এম এ আহমদ আজাদ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ দায়ের করেন।