নার্গিসের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে

মোঃ আলাউদ্দিন আল রনি ॥ মাধবপুর উপজেলার কড়রা গ্রামে ভাড়া বাসা থেকে নার্গিস আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার মীরনগর গ্রামের ফারুক ইসলাম ওরফে জীবনের প্রথম স্ত্রী। এ ঘটনায় মাধবপুর থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী জীবন ও তার ২য় স্ত্রী সামসুন্নাহারকে আটক করেছে। নার্গিসের পরিবারের অভিযোগ পারিবারিক কলহের জেরে নার্গিসকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সকালে থানার এসআই আবুল কাশেম মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়- মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া গ্রামের ফারুক ইসলাম জীবন প্রায় ৪ বছর আগে আদাঐর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার মেয়ে নার্গিস আক্তারকে বিয়ে করে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কড়রা গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। জীবন প্রায় ১০ মাস আগে পূর্ব ইটাখলার বইট্টা এলাকার মাহমুদ আলীর মেয়ে সামসুন্নাহারকে (১৯) বিয়ে করে একই বাসায় বসবাস করছিল।
নার্গিসের ভাই জাহাঙ্গীর মিয়া জানান- ৪ বছর আগে মীরনগর গ্রামের মাজুম খা’র ছেলে ফারুক ইসলাম জীবনের সঙ্গে নার্গিসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ফারুক সহ তার পরিবারের সদস্যরা নার্গিসের উপর নির্যাতন করত। দশ মাস আগে ফারুক কড়রা গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে সেখানে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করত। দ্বিতীয় বিয়ের পর নার্গিস তার ভাইয়ের বাড়ি গোপালপুরে আশ্রয় নেয়। গত বুধবার নার্গিস তার স্বামীর বাড়ি মীরনগর গেলে পরিবারের লোকজন শারীরিক নির্যাতন করে। পরে নার্গিস তার স্বামীকে নিয়ে কড়রা গ্রামে সতিনের বাসায় যায়। রোববার সকালে নার্গিসের বাবার বাড়িতে খবর দেওয়া হয় নার্গিস বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।
মাধবপুর থানার এসআই আবুল কাশেম জানান, এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতের জন্য লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, জীবন ও তার ২য় স্ত্রী সামসুন্নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।