নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতারকৃত প্রতারক ফরজুন আক্তার মনির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সমীর দাশ ফরজুন আক্তার মনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এর আগে এ বিষয়ে দীর্ঘ শুনানি হলে রাষ্ট্রপক্ষ তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য বললে বিজ্ঞ আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শুনানির তারিখ ধার্য্য করেন। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট বদরু মিয়া ও তাজ উদ্দিন সুফিসহ ৭/৮ জন আইনজীবী। আসামীপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক হৃদয় ও অ্যাডভোকেট আবুল ফজল। আদালত পরিদর্শক আল আমিন রিমান্ড মঞ্জুরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানীকর মিথ্যা স্ট্যাটাস এবং বিভিন্ন ভূয়া একাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় ফরজুন আক্তার মনিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই নারী দীর্ঘদিন যাবত নিজেকে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজনের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। তার টার্গেট ছিল- নারী জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা ও স্কুল-কলেজের ছাত্রী। প্রতি রাতেই নারীদের বিভিন্ন অশালীন ম্যাসেজ দিতো। এসব ম্যাসেজের স্ক্রিনশট প্রকাশ হওয়ায় মনি নারী না পুরুষ এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রতারক মনির এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে কেউ প্রতিবাদ করলেই মনি তার ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি ও মানহানীকর স্ট্যাটাস পোস্ট দিয়ে অপদস্ত করতো।
অভিযোগ রয়েছে- বহু রূপের অধিকারী মনি বিশেষ করে নিজেকে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতো। কিছুদিন পূর্বে একাধিক মানহানীকর স্ট্যাটাস দিলে সংবাদিক এম এ আহমদ আজাদ বাদী হয়ে পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ দায়ের করেন।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, মনিকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিভিন্ন ভূয়া আইডি ও প্রতারণার তথ্য উদঘাটন সম্ভব হবে।