চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের বরাব্দা গ্রাম থেকে পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে। প্রয়াতের বাড়ির একটি কাঁঠাল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিকে প্রয়াতের পরিবার দাবি করেছে একটি মামলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ তাকে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, বরাব্দা গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে তিন কন্যা সন্তানের পিতা আব্দুল হক (৫৫) বুধবার রাতে খাওয়া শেষ করে সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তার স্ত্রী বদরুন্নেছা তাকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার ঘরের পেছনে একটি কাঁঠাল গাছে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে চুনারুঘাট থানায় খবর দিলে দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে রাতেই দাফন করা হয়।
প্রয়াতের পরিবার জানিয়েছে, মামলা মোকদ্দমার জেরে একই বাড়ির মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে আব্দুল হাই, আব্দুল হককে হুমকি দেওয়ার একদিনের মধ্যেই তার মৃত্যু ঘটে।
প্রয়াতের ভাগিনা সোলায়মান জানান, বরাব্দা গ্রামের জমশের আলী ও শিলন মিয়ার সাথে পুকুরে মাছ মারা নিয়ে আদালতে ৫টি মামলা রয়েছে। একটি মামলার আসামী ছিলেন আব্দুল হক। এ ঘটনার বিষয়ে বুধবার মিরাশী ইউনিয়ন পরিষদে একটি শালিস বৈঠক ছিল। সেখানে এ মামলার আসামী আব্দুল হক ও সাক্ষী আব্দুল হাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এনিয়ে আব্দুল হাই আব্দুল হককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। সোলায়মান জানান, তার মামা প্রয়াত আব্দুল হক বুধবার বিকেল ৫টায় তাকে হুমকি দেওয়ার কথা জানান। তিনি জানান, হুমকি প্রদানের ১২ ঘন্টার মধ্যেই তার লাশ পাওয়া যায়। প্রয়াতের চাচাতো ভাই নুর মোহাম্মদ জানান, আব্দুল হাই ও তার লোকজন তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে বলে আমি মনে করছি। প্রয়াতের মেয়ে শফিকুন্নেছা জানান, আমার বাবাকে আব্দুল হাই গং হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। তারা এ নিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান। অপর একটি সুত্র জানায়, বুধবার আব্দুল হাই আঃ হককে বাজারে নানা কটুক্তি করে এবং তাকে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনা থেকে আব্দুল হক আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার দারোগা অলক বড়–য়া জানান, আমরা লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়না তদন্তের পর বলা যাবে কিভাবে মারা গেছেন।