স্টাফ রিপোর্টার ।। হবিগঞ্জ শহরের ডাকঘর এলাকায় ছুরিকাঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী জনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ-র‌্যাব-সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থা। তবে তাদের ধারণা চোরেরা বাঁচতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করেছে। এদিকে তার মৃত্যুর ঘটনায় শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্র-জনতা দোষীদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। সদর মডেল থানার ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, রহস্য মোটামুটি উদঘাটনের পথে। অচিরেই দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোররাতে শহরের ডাকঘর এলাকার লন্ডন প্রবাসী নুর মিয়ার মহব্বত মঞ্জিলের ভাড়াটিয়া কাঁচামাল ব্যবসায়ী নর্ধন দাশের পুত্র ঘরের পাশে শব্দ শুনে তাঁর ছোট ছেলে জনি দাশ বাইরে বের হয়। কিছুক্ষণ পর বাকবিতণ্ডার আওয়াজ পেয়ে বড় ছেলে জীবন দাশ ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন জনির সঙ্গে অপরিচিত এক তরুণের ধস্তাধস্তি চলছে। এ সময় দুই ভাই বাঁধা দিতে চাইলে তাঁদের ছুরিকাঘাত করে।

এ সময় ওই যুবককে পরিবারের লোকজন আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। এক পর্যায়ে জনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে রক্ষায় পরিবারের লোকজন চেষ্টা করলে দুর্বৃত্ত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় জনিকে হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত জীবন দাশ একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। জনি দাশ হবিগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার ভাই জীবন দাশ হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।