উৎসবে অনেকেই মাদকদ্রব্য সেবন করে থাকেন। ধর্মীয় উৎসবে মাদকদ্রব্য খাওয়া বা সেবন করা যাবে না। আজান ও নামাজের সময় মসজিদের ইমাম ও মুসল্লীদের সাথে সমন্বয় রেখে মাইক বন্ধ রাখতে হবে।
এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম-পিপিএম (সেবা) বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসবে উচ্চস্বরে ডিজে বাজানো যাবে না। মন্ডপগুলোতে ডিজে বন্ধ থাকবে। কোথাও ডিজে বাজানো হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, উৎসবে অনেকেই মাদকদ্রব্য সেবন করে থাকেন। কিন্ত ধর্মীয় উৎসবে মাদকদ্রব্য খাওয়া বা সেবন করা যাবে না। এ বিষয়ে তিনি পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রত্যেককে তার ধর্মীয় উৎসব সঠিকভাবে পালন করা উচিত। দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ করার জন্য পুলিশ সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। পূজা শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত মন্ডপগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে পুলিশ। তবে পুলিশের পাশাপাশি নিজেদের স্বেচ্ছাসেবকদেরও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিটি মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। তিনি গতকাল সোমবার তার কার্যালয়ের হলরুমে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি এবং পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মন্দিরগুলোতে নিজেরদের স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচিতির জন্য পরিচয়পত্র এবং একই ধরণের গেঞ্জি, টি শার্ট পড়তে হবে। স্বেচ্ছাসেবকরা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবেন। আজান ও নামাজের সময় মসজিদের ইমাম ও মুসল্লীদের সাথে সমন্বয় রেখে মাইক বন্ধ রাখতে হবে। আশাকরি সকলের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাৎসব সম্পন্ন হবে। সভায় তিনি প্রত্যেক থানার অফিসার ইনচার্জসহ সকল পুলিশ সদস্যকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার) শেখ মোহাম্মদ সেলিম, সহকারি পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি আয়কর আইনজীবী নলিনী কান্ত রায় নিরু, সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় প্রমূখ। সভায় প্রত্যেক থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।
পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ৬৫৩টি পূজামন্ডপে শারর্দীয় দুর্গাৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামন্ডপ ১২৫টি, গুরুত্বপূর্ণ ১৪৮টি ও সাধারণ পূজামন্ডপ ৩৮০টি। হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৩, চুনারুঘাট ৭৯, মাধবপুর ১১৮, বাহুবল ৪৯, নবীগঞ্জ ৯০, বানিয়াচং ১১৮, আজমিরীগঞ্জ ৩৭, লাখাই ৭১ ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ১৮টি মন্ডপে শারর্দীয় দুর্গাৎসব অনুষ্ঠিত হবে।