চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের কবির মিয়ার স্ত্রী মোছা: তারফুল নেছাকে (২৫) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বেধড়ক পিটিয়ে বাম হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী শওকত আলী। এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর তারফুল নেছা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগ-২ আদালতে ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলার মনিপুর গ্রামের মন্নর আলীর পুত্র জুনাঈদ মিয়া (২৮), মৃত শাহ আলমের পুত্র শওকত আলী (২৬), মৃত আ: ছোবহানের পুত্র মন্নর আলী (৪৮), মন্নর আলীর পুত্র সফর আলী (৩৫), মন্নর আলীর স্ত্রী মল্লিকা খাতুন (৫০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ধরে তারফুল নেছার স্বামী কবির মিয়া ও তার পরিবারের সাথে জুনাঈদ মিয়া গংদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর ১২টার দিকে শওকত আলী, জুনাঈদ, মন্নর, সফর, মল্লিকা খাতুন সহ প্রতিপক্ষের লোকজন তারফুল নেছাকে বসতবাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে তারফুল নেছা গালিগালাজের প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শওকত আলী তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাম হাত ভেঙ্গে ফেলেন। এই সুযোগে জুনাঈদ মিয়া তারফুল নেছার গলায় থাকা আটআনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। তারফুল নেছার শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় চুনারুঘাট থানার এস.আই মোস্তফা কামাল সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার পক্ষকাল পেরিয়ে গেলেও সুস্থ হয়ে উঠেননি তারফুল নেছা। তিনি এখনো চুনারুঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com