ভোটার তালিকা সংশোধন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আদালতে সভাপতি পদপ্রার্থী হাজী মোঃ আব্দুর রহমান তালুকদারের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ব্যকস) এর নির্বাচন স্থগিত করেছে আদালত। নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হাজী আব্দুর রহমান তালুকদারের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি জজ বানিয়াচং পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশ দেন।
ভোটার তালিকা সংশোধন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ব্যকস) হবিগঞ্জের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী হাজী মোঃ আব্দুর রহমান তালুকদার। গতকাল বুধবার বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি জজ বানিয়াচং এর আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ব্যকসের বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দসহ নির্বাচন কমিশনারবৃন্দকে বিবাদী এবং পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজানকে মোকাবেলা বিবাদী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ব্যকস) এর নির্বাচনে নিয়ম বহির্ভূত ভোটার বানানোর অভিযোগ উঠেছে। তাই আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ভূয়া ভোটার তালিকায় যাতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন না করতে পারে সেজন্য সভাপতি পদপ্রার্থী হাজী আব্দুর রহমান তালুকদার নির্বাচন কমিশনসহ ব্যকসের বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দকে বিবাদী করে সিনিয়র সহকারি জজ বানিয়াচং (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ এখলাছ উদ্দিনের আদালতে নির্বাচনে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানান। আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৬ থেকে ২০নং বিবাদীগণের বিরুদ্ধে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা হইবে না নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। ১৬-২০নং বিবাদী হলেন যথাক্রমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলহাজ¦ মর্তুজা ইমতিয়াজ, নির্বাচন কমিশনার আলহাজ¦ মহিবুর রহমান, নির্বাচন কমিশনার আব্দুল ওয়াদুদ, বহুলা রোড পোদ্দার বাড়ি এলাকার সামছুজ্জামান চৌধুরী ও কালীবাড়ি রোডের আব্দুল কাদির লিটন।
অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন আরো জানান, নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মামলার বাদী হাজী মোঃ আব্দুর রহমান তালুকদার জানান, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের জন্য যে ভোটার তালিকা করা হয়েছে তাকে অসংখ্য ব্যক্তিকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ভূয়া ভোটার করা হয়েছে। তাই ২১ সেপ্টেম্বরের নির্বাচন সঠিক হবে না এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে না বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো জানান, যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তাদের ট্রেড লাইসেন্স যাচাই বাছাই করে তা সঠিক রয়েছে কিনা অর্থাৎ প্রকৃত ব্যবসায়ীরাই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন কিনা তা নিরূপণের জন্য মামলায় পৌর মেয়রকে মোকাবেলা বিবাদী করা হয়েছে। বাদী ভোটার তালিকা সংশোধন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ব্যকসের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছে কমিশন। ইতোমধ্যে মনোনয়ন গ্রহণ, যাচাই-বাছাই, প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের তপশীল ঘোষণার পরই ভোটার তালিকা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত বা নিয়ম বহির্ভূত ভোটার বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান ও মোঃ রুহুল আমিন।