স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি পছন্দ এবং সম্মান করেন গ্রামের দরিদ্র মানুষকে। তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই আমরা জনগণের জন্য কাজ করেছি। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ হবিগঞ্জবাসীর জন্য এমপি আবু জাহির যে উন্নয়ন করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই সকল কর্মকান্ডের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাই।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এবং লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকাস্থ লাখাই আওয়ামী পরিবার। এ সময় প্রতিমন্ত্রী হবিগঞ্জ জেলার উন্নয়নে সবধরণের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রধান বক্তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, যারা উপজেলা পরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন তাদের দলে থাকার অধিকার নেই। এখন থেকে তারা দলের কোনও পদেও নেই। তাদের শোকজের চিঠি দুয়েকদিনের মাঝে চলে যাবে। এই নির্দেশ আমার নয়, এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। শোকজের জবাব যদি সন্তোষজনক না হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও এ থেকে রেহাই পাবেন না।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ নামে কোন সহযোগী সংগঠন আওয়ামী লীগের নেই। তাদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ রয়েছে।
সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেন, লাখাই উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করেন ঢাকায়। অনেক ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও মাননীয় মন্ত্রী লাখাইবাসীর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ায় আমরা তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বামৈ থেকে লাখাই পর্যন্ত আরো একটি রাস্তা নির্মাণে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন বলে সভায় উপস্থিত সকলকে জানান এমপি আবু জাহির।
তিনি আরো বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আমি হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি উত্থাপন করেছি। মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে সড়কের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন। অন্যতায় এই কাজের টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে কাজ করার নির্দেশ দেন।
সংগঠনের সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি, নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ মিলাদ, সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যরিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী টিপু, অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, ডা. সিএম দেলোয়ার রানা, অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, লাখাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম আলম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাই, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মাস্টার, শাহ রেজা উদ্দিন আহমেদ দুলদুল, ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামাল চৌধুরী, শরীফ উদ্দিন তালুকদার, মাসুকুর রহমান মাসুক, মাসুক মিয়া তালুকদার, ইকরামুল মজিদ চৌধুরী শাকীল, অ্যাডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ সৌরভ, হাজী মুখলেছুর রহমান, ছাত্রলীগের আহবায়ক খায়ের উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক শরীফুল আলম রনি, সোহেল লস্কর, এনায়েত হোসেন প্রমুখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের দুই সহশ্রাধিক আওয়ামী পরিবারের লোকজন অংশ নেন।
ঢাকাস্থ লাখাই আওয়ামী পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বললেন- উপজেলা নির্বাচনে যারা নৌকার বিরোধীতা করেছেন তাদের দলে থাকার অধিকার নেই। লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও এ থেকে রেহাই পাবেন না। মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ নামে আওয়ামী লীগের কোন সহযোগী সংগঠন নেই, তাদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ রয়েছে
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com