গত ১০ মহররম মঙ্গলবার বাদ আছর থেকে গাউছিয়া কমিটি হবিগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আলে রাসুল আলী মাকাম সায়্যিদুশ শোহাদা বেহেস্তের যুবকদের সরদার ইমাম হুছাইন (রাঃ) সহ কারবালায় শহীদগণের স্মরণে বিশেষ মাহফিল শায়েস্তানগর গাউছিয়া প্রি-ক্যাডেট একাডেমী ও সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক এমপি চৌধুরী আব্দুল হাই অ্যাডভোকেট এর সভাপতিত্বে এবং অধ্যক্ষ গোলাম সরওয়ারে আলমের পরিচালনায় ৬১ হিজরীর হৃদয় বিদারক ঘটনার বর্ণনা সহ শদীদদের শান মান নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হবিগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহের প্রধান খতিব হযরত মাওঃ গোলাম মোস্তফা নবীনগরী, হবিগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মুফতি হাফিজ আহমদ শাফী, করাব মাদ্রাসার সুপার মুফতি রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা সুলায়মান খান রাব্বানি, মুফতি আবু সাফওয়ান আশরাফুল ওয়াদুদ, মুফতি মুজিবুর রহমান আল ক্বাদেরী, মাওঃ কাজী সাইফুল মোস্তফা, মাওঃ আবু তাহের, মাওঃ জহিরুল ইসলাম প্রমূখ প্রখ্যাত উলামায়ে কেরাম।
বক্তাগণ বলেন, ইয়াজিদের বশ্যতাকে অস্বীকার করে ইসলামের সঠিক মূলনীতির উপর অটল থাকার কারণেই ইমাম হুছাইন (রাঃ) কারবালায় শহীদ হয়েছেন। সম্পূর্ণ অন্যায় পন্থায় ৫ দিন ফোরাতের পাড়ে আটক রেখে নবী পরিবারকে পানি পান করতে দেয়া হয়নি, অথচ কিয়ামতের দিনে তাদের মাধ্যমেই উম্মতকে হাউজে কাউসার পান করানো হবে। সবচেয়ে আশ্বর্য্য ৬ মাসের শিশু আলী আজগরকে পানি পান করাতে নিয়ে গেলে বিষাক্ত তীর দিয়ে তার কন্ঠ নালীকে স্তব্ধ করে দেয় ইয়াজিদের পাষন্ড সৈন্যরা। আলী মাকামের শিরচ্ছেদ ঘটায় তারা। তার নিথর দেহের উপর দিয়ে ঘোড়া ছুটিয়ে দেয় তারা। তিনি নানাজানের কোটি কোটি উম্মতকে হাশরের ময়দানে তার রক্তের বিনিময়ে উদ্ধার করবেন বলেই জেনে বুঝে শাহাদাতের পেয়ালা পান করেছেন। আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন অন্যায়ের কাছে কখনো নতি স্বীকার করা যাবে না।
সভায় মরহুম চৌধুরী আব্দুল গণি ও মরহুম আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আঞ্জব আলীসহ সকল শহীদদের এবং পরীভাই বোনের জন্য ইছালে সোয়াবের উদ্দেশ্যে রোজাদারদের ইফতার করানো হয় এবং সবশেষে তাবারোকাতের ব্যবস্থা করা হয়। আগামী ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফে গাউছিয়া কমিটির উদ্যোগে জউকশউকে জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি