আপন ৩ ভাইকে আসামী করে হত্যা মামলা ॥ আসামীরা পলাতক
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিখোঁজের একদিন পর হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ধানের জমি থেকে মানিক মিয়া নামে এক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নবীগঞ্জ থানার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামের মাদ্রাসার পূর্বদিকে হান্নান মিয়ার ধানি জমি থেকে গৃহকর্মী মানিক মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত মানিক মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট গ্রামের সাব্বির আহম্মদের ঘরে গৃহকর্মী হিসাবে অনেকদিন ধরে কাজ করে আসছিল। গত বুধবার বিকালে গ্রামের মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিলে গেলে সে আর বাড়িতে ফিরেনি। পরদিন বৃহষ্পতিবার হান্নান মিয়ার ধানের জমিতে মানিক মিয়ার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মানিক মিয়ার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে ময়না তদন্তের জন্য মানিক মিয়ার লাশ ২৫০ শয্যা হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে সদরঘাট গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র সাব্বির আহম্মদ বৃহস্পতিবার রাতেই বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তারই চাচাতো ৩ ভাইকে আসামী করা হয়েছে। তারা হলেন- সদরঘাট গ্রামের শেখ হাফিজ আব্দুল ছালামের পুত্র ব্যবসায়ী রেদওয়ান আহম্মেদ (২৭), ফারহান আহমেদ (২৪) ও তানজিদ আহম্মেদ (২২)। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী সাব্বির আহম্মদ জানান, আসামীদের সাথে তাদের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার গৃহকর্মী মানিককে হত্যা করেছে।
আসামী রেদওয়ান আহম্মদের মাতা কাজী জাহানারা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, তাদের নিঃস্ব করতে ও বাড়ী থেকে তাড়াতে পরিকল্পিতভাবে তার চাচা ও সৎ ভাই-বোনসহ পরিবারের অন্যান্যরা মিলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে তার ৩ ছেলেকে হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুক আলী লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে আপন ৩ ভাইকে আসামী করে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।