মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রায়হান উদ্দিন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চুনারুঘাটের চা বাগান এলাকায় অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি মো: রায়হান উদ্দিন চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গোবর খলা গ্রামের বাসিন্দা। পড়ালেখা এমবিএ (ব্যাংকিং ইনসুরেন্সে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আমার আগ্রহের কথা জানতে আমি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আমি বিশ্বাস করি চুনারুঘাট একটি উন্নয়নের ক্রস রোডে অবস্থান করছে।
আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তেমনি অনেক সুযোগও রয়েছে। আমি মনে করি একজন তরুণ হিসেবে সহযোগিতা পেলে চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করতে পারব। চুনারুঘাটকে নিয়ে যেতে পারব এক অনন্য উচ্চতায়। আমার কোন চাহিদা নাই, সেবা করাই একমাত্র উদ্দেশ্য।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্রীড়া, শিক্ষা, চিকিৎসা ও অন্যান্য সামাজিক কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। মানুষকে নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছি। কিন্তু আমি দেখেছি মানুষের জন্য বড় পরিসরে কিছু করতে গেলে, বিশেষ করে শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, রাস্তা-ঘাট ও অন্যান্য উন্নয়নে সরকারি সাহায্য ছাড়া করা সম্ভব না। তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চাই। চাই সবার সার্বিক সহযোগিতা।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে তরুণ- তরুণীদেরকে খেলাধুলায়, কারিগরি ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় গুরুত্ব দিব বেশী। তরুণ- তরুণীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার বান্ধব করে ট্রেনিংয়ে ব্যবস্থা করে, তাদেরকে দক্ষ করে তুলব। তারা ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং করে আমেরিকা, কানাডা , ইংল্যান্ড ও অন্যান্য দেশ থেকে ডলারে আয় করবে।
গত ১০ বছর ধরে আমি চুনারুঘাটের বিভিন্ন ইউনিয়নে খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতা ও সময় দিয়ে সবচেয়ে বেশী সহযোগিতা করেছি। আমি নির্বাচিত হলে খেলাধুলায় এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল সুমন ভাইয়ের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চুনারুঘাটকে খেলাধুলায় বাংলাদেশের বার্সেলোনা বানাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব। আমি নিজে খেলা প্রেমিক মানুষ। আমার বিশ্বাস এই কাজটা আমি অত্যন্ত ভালোভাবে করতে পারব।
বয়স্ক মানুষ ও প্রতিবন্ধী যারা আছেন তাঁরা যেন তাদের সরকারি ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ঠিকমত পান এবং কেউ যেন ১ টাকাও মারতে না পারে সেটার নিশ্চয়তা দিব।
আমি নিজে এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল সুমন ভাইয়ের সাথে গত ১২ বছরেরও বেশী সময়ধরে রাজনৈতিক, খেলাধুলায় ও সামাজিকভাবে একসাথে চলাফেরা করেছি। দীর্ঘদিন একসাথে চলাফেরা করার করণে নেতৃত্ব গুণাবলী, দূরদর্শিতা ও অনন্য আদর্শ গুনাবলি আমার মধ্যেও এর ইতিবাচক প্রভাব আছে। দীর্ঘদিনের চাকুরি ও উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাতো আছেই।
সুতরাং আমি বিশ্বাস করি এখন যারা স্কুল ও কলেজে পড়ে তাদেরকে আমি মোটিভেশন, কর্মদক্ষতা ও ভবিষ্যৎ চাকুরির বাজার নিয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারব। কিভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় তারও সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারব। চা বাগান এলাকায় এ সম্মেলনে মো: রায়হান উদ্দিনের শুভাকাক্সক্ষী ছাড়াও কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।