মাহফুজুল আলম বললেন আমাকে বহিস্কার করার এখতিয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুল আলমকে সাময়িক বহিস্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। তাকে দল থেকে চুড়ান্তভাবে বহিস্কারের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাময়িক বহিস্কারের এখতিয়ার নেই বলে দাবি করেছেন মাহফুজুল আলম।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় লাখাই উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরীফ উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ রেজাউদ্দিন আহমেদ দুলদুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুল আলমকে সাময়িক বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এবং তাকে চুড়ান্তভাবে দল থেকে বহিস্কারের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরীফ উদ্দিন তালুকদারকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ।
সভায় বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জ্যোতিষ চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক মুশফিউল আলম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, হাবিবুর রহমান আজনু, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে এলাহী অ্যাডভোকেট মাহফুজ মিয়া, সর্দার ওমর ফারুক, মাসুকুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, ঢাকাস্থ লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমেদ, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মামুন, সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল মজিদ চৌধুরী শাকিল, লাখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর আলম মাহফুজ, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন, মুড়াকরি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইছাক মিয়া, মুড়িয়াউক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়া তালুকদার, বামৈ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল তালুকদার, করাব ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ, বুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা আলমগীর, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক খায়ের উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফুল আলম রনিসহ ৫৪টি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি মাহফুজুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দলীয় কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শুধু আমিই নই, হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। তারাসহ সারা দেশে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন তাদের ব্যাপারে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমার ব্যাপারেও তিনি সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেন আমি মাথা পেতে নেবো। আমাকে বহিস্কারের কোন এখতিয়ার তাদের নেই।