মালিকের উপর চোরের মামলা দায়ের প্রস্তুতি

মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকার ফয়জাবাদ হিলসে লেবু বাগান মালিকরা চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তারা কোনো উপায় খোঁজে পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে তারা দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, এ হিলসকে ঘিরে টিলায় টিলায় লেবু বাগান গড়ে উঠেছে। লেবু গাছের ফাঁকে ফাঁকে কাঁঠাল, লিচু, আনারস, পেঁপেসহ বিভিন্ন ধরণের ফল ও সবজি চাষ করা হচ্ছে।
এসব চাষে বাগান মালিকরা যেমন স্বাবলম্বী, তেমনি লোকজনও ক্রয় করে খেতে পারছে কেমিক্যালমুক্ত সবজি ও ফল। লাভজনক হওয়ায় এ পাহাড়ে দিন দিন লেবুসহ বিভিন্ন ধরণের ফল ও সবজি চাষে বাগান মালিকরা উৎসাহিত হচ্ছেন।
কিন্তু এ চাষে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চোরেরা। তারা সুযোগ সন্ধানে বাগানে প্রবেশ করে লেবু, আনারস, পেঁপেসহ ফল ও সবজি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। বাগান মালিক ও সংশ্লিষ্ট চাষিরা চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ।
তাই প্রায় দুই বছর পূর্বে নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে আলহাজ্ব তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি করে বাগান মালিক সমিতি গঠন করা হয়। বাগানের সমস্যা ও চোর আটক হলে বিষয়টি সমিতিকে জানানো হয়। এ সমিতির মাধ্যমে সমাধান করে দেওয়া হয় সমস্যাগুলো। যার ফলে সমিতির প্রতি বাগান মালিকদের আস্থা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে ৩০ আগস্ট শুক্রবার ভোর সকালে এ পাহাড়ের ইদ্রিস আলীর বাগানে লেবু চুরি করতে যায় বাদল মিয়া, হেলাল মিয়া, বেলাল মিয়াসহ একদল চোর।
তারা লেবু চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাগান মালিক ইদ্রিস আলীর হাতে বাদল মিয়া আটক হয়। বাকীরা পালিয়ে যায় বলে সবার কাছে স্বীকার করে আটক হওয়া বাদল মিয়া। পরে তাকে বাগান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিনের কাছে জিম্মায় দেওয়া হয়। বাদল জানায়, সঙ্গীরা তাকে এখানে লেবু চুরি করতে নিয়ে আসে। তারা পালিয়ে গেলেও সে আটক হয়।
এ ব্যাপারে সমিতির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়, বিষয়টি পরে বসে বিচারের মাধ্যমে সমাধান দেওয়া হবে। কিন্তু এ ফাঁকে চোরেরা আহত নাটক সাজিয়ে বাহুবল মডেল থানায় বাগান মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করার চেষ্টায় রয়েছে।
বাগান মালিক ইদ্রিস আলী অভিযোগটিকে মিথ্যা দাবি করে চিহ্নিত চোর বাদলসহ বাকীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।