স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের নবম শ্রেণীর ছাত্রীর ইজ্জতের মূল্য ২০ হাজার টাকা দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা রফা-দফা করেছেন স্থানীয় মাতব্বররা। বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। ওই ছাত্রী ও তার পরিবার প্রভাবশালীদের ভয়ে কোথাও অভিযোগ করতে সাহস করছে না। গত শুক্রবার দুপুরে রফিক সর্দারের বাড়িতে শাহ আলম সর্দার ও মরম আলী সর্দারের উপস্থিতে এ সালিশ বিচার করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৬ আগস্ট ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের কন্যা এমপি আবু জাহির উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে তারই প্রতিবেশী মৃত করম আলীর পুত্র সাগর মিয়া (১৮) ফুসলিয়ে শ্রীমঙ্গলের একটি রিসোর্টে নিয়ে যায়। এদিকে কন্যাকে হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করার এক পর্যায়ে পিতা আব্দুল বারিক জানতে পারেন তার কন্যাকে সাগর নিয়ে গেছে। পরে তিনি মাতব্বরদের কাছে বিচার প্রার্থী হলে তারা অভিভাবকদের সাথে কথা বলে ওই ছাত্রী ও সাগরকে এক সপ্তাহ পর বাড়িতে নিয়ে আসেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জানাজানি হলে দরিদ্র পরিবারের মেয়েটির মা লজ্জায় তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
পরে সামাজিকভাবে মেয়েকে সাগরের কাছে বিয়ে দিতে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেন। কিন্তু মুরুব্বীরা সাগরের সাথে বিয়ে না দিয়ে তার ইজ্জতের মূল্য হিসেবে ২০ হাজার টাকা ধার্য্য করেন। এরপর থেকে ওই পরিবারটি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।
এ ব্যাপারে গোপায়া ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- বিষয়টি আমি শুনেছি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।