স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে তরুণ প্রজন্মের সামনে টানা নবমবারের মতো প্রাচীন ঐতিহ্য ‘ঘুড়ি উৎসব’ তুলে ধরল সামাজিক সংগঠন ‘দুই শূণ্য শূণ্য ছয়’। তাদের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রয়োজনীয়। নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে এ ঘুড়ি উৎসব।
টানা চতুর্থবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির গতকাল হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘বসন্ত বরণ ও ঘুড়ি উৎসবের’ আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি তানভীর আহসানের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, দৈনিক সমাচারের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান প্রমুখ।
উৎসবে নানা বয়সী হাজারো মানুষ উপভোগ করছেন কাগজে তৈরী প্রাণীদের উড়াউড়ি। প্রাণীর এসব প্রতিরূপ ছাড়াও আকাশে এবার উড়েছিল বাহারি রঙের ঘুড়ি। উৎসব চলাকালে স্টেডিয়ামের এক কোণে তৈরী করা মঞ্চে গান পরিবেশন করেছেন জনপ্রিয় তারকা আশিক ও বাঁধনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সঙ্গীতশিল্পীরা।
‘ঘুড়ি উৎসব ও বসন্ত বরণ’ উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা ও ‘দুই শূণ্য শূণ্য ছয়’ পরিবারের সাবেক সভাপতি সাইফ আহছান বলেন, অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঢাকা থেকে ঘুড়ি কিনে আনা হয়েছে। এছাড়া আয়োজকরা নিজের হাতে তৈরি করেছেন হরেক রকম দেশীয় পিঠা। এগুলো বিক্রি করেই আয়োজনের খরচ মেটানো হচ্ছে। উৎসবের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ২৮টি স্টলের ভাড়া থেকৈ টাকা শিশুদের জন্য ব্যয় করা হবে। স্টলের ভাড়া এবং সদস্যদের চাঁদা দ্বারা পথশিশুদের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ হয়। দুই শূণ্য শূণ্য ছয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের জন্য পাঠশালা তৈরীর মধ্য দিয়ে। এবারের ঘুড়ি উৎসব তাদের ৯ম আয়োজন।