বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় বক্তারা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টায় শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বলেন- ১৫ বছর যাবত বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে আছে। মানুষের ভোটের অধিকার ও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। পুলিশ দিয়ে হামলা, মামলা আর গ্রেফতার করে বিএনপির আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপি ঘরে ফিরবে।
সভায় অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন বলেন- মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেফতার করে জি কে গউছকে দুর্বল করা যাবে না। আওয়ামী লীগ ও পুলিশী নির্যাতনে জি কে গউছের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জি কে গউছ এখন বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, জি কে গউছ এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় স্থান করে নিয়েছে। ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জি কে গউছ হবিগঞ্জের এমপি হবেন। আরও বড় দায়িত্ব পালন করবেন।
অ্যাডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী বলেন- বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে অধিকাংশ জেলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। কিন্তু যে কয়েকটি জেলায় পুলিশ বাঁধা সৃষ্টি করে, হামলা করে, গুলি বর্ষণ করে এর মধ্যে হবিগঞ্জ একটি জেলা। কারণ আওয়ামী লীগ জানে সুষ্ঠুু নির্বাচন হলেই জি কে গউছ এমপি হবেন। হবিগঞ্জে জি কে গউছের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভালোবাসা দিয়ে, উন্নয়ন দিয়ে, সততা দিয়ে জি কে গউছ মানুষের হৃদয় জয় করেছে। আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতন যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে জি কে গউছের জনপ্রিয়তা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনসমর্থন জি কে গউছের পক্ষে যাচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগের মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গেছে। মানুষ আর তাদের কথা বিশ্বাস করে না।
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম ও হাজী এনামুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান ফারছু, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য এম জি মোহিত, আজিজুর রহমান কাজল, শামছুল ইসলাম মতিন, গীরেন্দ্র চন্দ্র রায়, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা জাসাসের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমু আক্তার চৌধুরী, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন, লিটন আহমেদ, বজলুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম মেরাজ, কামাল খান, মামুন আহমেদ, আব্দুল হান্নান, হারিছ মিয়া, গোলাপ খান, ইলিয়াছ আলী, আনিসুর রহমান জেবু, ইকবাল আহমেদ, সাজিদ মিয়া, বাদল আহমেদ, জাকির হোসেন, আব্দুল রাজ্জাক চৌধুরী বকুল, আব্দুস সালাম, আনোয়ারুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, আলকাছ মিয়া, মুশলিম শাহ, সৈয়দ রুহেব হোসেন, মালেক শাহ, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ, শেখ ওসমান গনি, আব্দুল কাদির, মজনু মিয়া, এম ডি দুলাল, মানিক মিয়া, জয়নাল মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, যুবদল নেতা মহসিন সিকদার, দুলাল মিয়া, হোসাইন আহমদ রানা, নরোত্তম দাস, সাদেকুর রহমান লিটন, সাইদুর রহমান শামিম, তারেক আহমেদ তাহির, মোঃ নুরুল আমিন, কাওছার আহমেদ, শামিম আহমেদ, এমদাদুল উল্লাহ খান, মোঃ আদব আলী, মহিবুল হক সুমন, মিজানুর রহমান আলমগীর, আক্কাস ভান্ডারী, সোহাগ হোসাইন, জাহাঙ্গীর মিয়া, মিলন মিয়া, সুমন, স্বপন মিয়া, মোঃ কাসেম, শ্রমিক দল নেতা রতন আনসারী, আব্দুল খালেক, শেখ রহমত আলী, আশরাফুল আলম সবুজ, আনিস মিয়া, আক্তার মিয়া, আব্দুল হামিদ, হাসান আলী, জেলা ছাত্রদল নেতা জনি আহমেদ, রুকন আহমেদ, রুবেল আহমেদ, মুরাদ আহমেদ, রাব্বি আহমেদ, মোজাক্কির হোসেন ইমন, শেখ রাসেল, ফয়জুল ইসলাম ইব্রাহিম, মাহফুজ চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান, জাবের আহমেদ, সৈয়দ মোবারক, শিমুল আহমেদ, জাসাস নেতা ফজর আলী ফজল, এমদাদুল হক লিটন, মহিলা দল নেত্রী নুরজাহান বেগম, আফরোজা চৌধুরী, আমিনা আক্তার, নাজমা আক্তার প্রমুখ।