মামলা তদন্তকালে দীর্ঘসূত্রিতা এবং জখমী সার্টিফিকেট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ প্রাধান্য পেয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে (ক) সাক্ষী এবং অভিযুক্তদের প্রতি ইস্যুকৃত সমন এবং বিভিন্ন প্রসেস জারীকরণ; (খ) অনুসন্ধান এবং তদন্তকালীন দীর্ঘসূত্রিতা ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ; (গ) জখমী সনদ ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ ছিলো মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
২০২৩ সালের জানুয়ারি হতে জুন পর্যন্ত অত্র ম্যাজিস্ট্রেসীতে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা ও নিষ্পত্তির একটি সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান ও তুলনামূলক বিবরণী পর্যালোচনাও বিশেষ গুরুত্ব পায়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসাইন। পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স এর ফোকাল পার্সন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছিফাত উল্লাহ এর উপস্থাপনা ও সঞ্চালনায় মহাগ্রন্থ আল কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া অত্র সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হবিগঞ্জ মোঃ শামসুল হক, তত্ত্বাবধায়ক, ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল হবিগঞ্জ ডাঃ মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার।
এছাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, সিভিল সার্জন হবিগঞ্জ এর প্রতিনিধি, আর.এম.ও. ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরী, বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, সহকারী পরিচালক, ৫৫ বি.জি.বি, হবিগঞ্জ, র‌্যাব-৯ সিপিসি-০১ শায়েস্তগঞ্জ এর প্রতিনিধি, পিবিআই, সি.আই.ডি, ডি.বি, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ, হবিগঞ্জ জেলা বার এর সভাপতি মোঃ আবুল মনসুর চৌধুরী, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম. শামীম আহমেদ সহ ফৌজদারী মামলা দায়ের, তদন্ত ও বিচার কাজের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।