বাহুবল প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে চলছে তান্ডব! গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফতেহপুর গ্রামে জমিতে পানি সেচের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে জামাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। ঘটনার সাথে সাথেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় সজলু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন জুয়েদ মিয়া। মামলার সাথে সাথেই আসামীরা পালিয়ে যায়। পুরুষশূন্য বাড়িতে শুধু মহিলারাই অবস্থান করছেন। এ সুযোগে নিহতের পক্ষের জুবেল মোল্লার নেতেৃত্বে একদল লোক আসামী সজলু মিয়া ও তার লোকজনের বাড়িঘর, গাছপালা ও সহায় সম্পত্তি ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। পাকা বিল্ডিংয়ের ওয়াল, ছাদ, দরজা-জানালা ভেঙ্গে একাকার করে দেয় তারা। মালামাল আসবাবপত্র স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল, ৫টি মূল্যবান গরু, বেশ কয়েকটি ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। গাছপালা কেটে উজাড় করে দিয়েছে। ডোবা, পুকুর সেচে বিপুল পরিমাণ মাছ নিয়ে গেছে। এসব তান্ডবলীলা দেখে যে কেউ আতকে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। পুরুষশূন্য বাড়িতে মহিলাদের মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। খুনের ঘটনার পর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকেই দফায় দফায় চলছে এসব তান্ডব ও লুটতরাজ। প্রতিপক্ষের হামলা ও লুটপাটে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে ধারণা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন। এসব অপকর্মের কারণে প্রতিপক্ষের নিরপরাধ লোকজন বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা চরম নিরাপত্তাহীন ভূগছেন।
নির্যাতনের শিকার রাহেনা বেগম নামে এক বৃদ্ধা বাদী হয়ে জুবেল মোল্লাসহ ১০ জনকে আসামী করে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বাহুবল থানায় তদন্তাধীন আছে। এরপরও প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেমে নেই। অবশ্য অভিযুক্ত জুবেল মোল্লা এসব ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন।
এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন সুশীল ব্যক্তিবর্গ। স্থানীয় সচেতনদের মন্তব্য হচ্ছে খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে, বিচার হবে। কিন্তু আসামীপক্ষের বসতবাড়ি, সহায় সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করা মারাত্মক অন্যায় এবং আইন বিরোধী।
জানা গেছে, পুলিশ এসব ঘটনায় সরেজমিন গিয়ে গ্রামবাসীকে সতর্ক করেছে। পুলিশের কড়া সতর্ক দৃষ্টি না থাকলে আবারো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দাগণ।