স্টাফ রিপোর্টার ॥ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম থেকে পদত্যাগ করেছেন সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া। সাধারণ সম্পাদক পদের পাশাপাশি দলীয় সদস্যপদও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া এ তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি এবং আমার পদত্যাগপত্র দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নিকট ইতোমধ্যেই জমা দিয়েছি। এ ছাড়া আমি গণফোরামের দলীয় সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছি।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেওয়ায় ড. কামাল হোসেন ও গণফোরামের নেতাদের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রেজা কিবরিয়া। তিনি আরো বলেন, গত ১৮ মাস ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর গণফোরাম থেকে মোস্তফা মহসিন মন্টু, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ থেকে আসা আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, হেলাল উদ্দিন, সুব্রত চৌধুরী, লতিফুল বারী হামিম, খান সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুল হাসিব চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়।
মন্টুদের বাদ দিয়ে ১২ ডিসেম্বর কাউন্সিলের ঘোষণা দেওয়া হয়, যাতে সায় ছিল ড. কামাল হোসেনের। মন্টুর নেতৃত্বে দলের কয়েকজন নেতা এ আদেশ না মেনে ২৬ ডিসেম্বর আলাদা কাউন্সিলের ঘোষণা দেন। তবে সম্প্রতি মণ্টুরা দেখা করেন ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে। আর তিনি সব বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেন।
এর মধ্যেই রেজা কিবরিয়া পদত্যাগ করেন। তিনি পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘আমি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণফোরামে যোগ দিই। গণফোরামে যোগ দেওয়ার পূর্বে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি নীতি নিয়ে কাজ করি। একপর্যায়ে আমার মনে হয়েছে যে, নিজ দেশের জনগণের জন্য কাজ করার সময় এসেছে। এ ধরনের সুযোগ হয়তো ভবিষ্যতে নাও আসতে পারে, কিন্তু আমার বাবা শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়ার মতো, আমি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।’
রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে আমি তাদের সাথে কাজ করে যাব। আমি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে অনেক আশাবাদী। আমি মনে করি, তরুণরা বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা সম্পর্কে ধীরে ধীরে সচেষ্ট হয়ে উঠছে।’
‘আমি দেশের মানুষ ও গণমাধ্যম যারা আমাকে বিগত মাসগুলোতে সাহস যুগিয়েছেন ও সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আশা করি, আগামী দিনগুলোতে আমরা দেশে মুক্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাব। বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে, আমি তাদের সঙ্গে কাজ করে যাব। আমি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে অনেক আশাবাদী। আমি মনে করি, তরুণরা বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা সম্পর্কে ধীরে ধীরে সচেষ্ট হয়ে উঠছে’।