স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জসহ হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে হারবাল চিকিৎসা। মহামারী করোনার মাঝে ৬ মাস এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কয়েকমাস ধরে আবারও এসব হারবাল ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, যৌন উত্তেজক ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে অস্বাস্থ্যকরভাবে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ তৈরি করে সহজ সরল মানুষের কাছে বিক্রি করছে। আর এসব সেবনের ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এসব দোকানের কোনো লাইসেন্স নেই। ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে দেদারছে এসব ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর, নতুন ব্রীজ কুটি বাড়ি, নতুন ব্রীজ যাত্রী ছাউনি, উবাহাটা তিন রাস্তার মোড়, হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২৫টিরও বেশি এসব হারবাল সেন্টার গড়ে উঠেছে। আবার অনেকটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আবার এসব হারবাল সেন্টারের কথিত ডাক্তারের বিলাসবহুল বাড়ি গাড়িও রয়েছে।
মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার পর কিছুদিন বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে তারা। তাদের নিকট থেকে ঔষধ সেবন করে প্রতারিত হচ্ছে সহজ সরল নিরীহ লোকজন। আবার অনেক রোগীকেই চিকিৎসকরা গ্যারান্টি দিয়ে ঔষধ বিক্রি করছে। কিন্তু ঔষধে কাজ না হলে টাকা ফেরত চাওয়ার সময় চিকিৎসকের সাথে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে বাহারি রং ও অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ বিজ্ঞাপন দিয়ে কাস্টমারদের আকৃষ্ট করা হয়। অনেক কাস্টমারই জানেনা তাদের যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবন করে নিজেকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এছাড়া এসব হারবাল চিকিৎসকের নামের পাশে বিভিন্ন ধরনের ভূয়া ডিগ্রীধারী স্টিকার ব্যবহার করা হয়। অনেক চিকিৎসকই এসএসসি পর্যন্ত পাশ করতে পারেননি।
সম্প্রতি, চিকিৎসকের কোন যোগ্যতা ও ভেজাল ঔষধ বিক্রির অভিযোগে জেল ও জরিমানা করা হলেও তারা জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও প্রকাশ্যে অপচিকিৎসা শুরু করেছে। ফলে তাদের ঔষধ সেবন করে অনেক মানুষ স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে আনাচে কানাচে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে হারবাল চিকিৎসা কেন্দ্র।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন জানান, তালিকা তৈরি করে অচিরেই এসব হারবাল সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।