স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরতলীর পোদ্দার বাড়ি এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হওয়ার ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এদিকে নিহতের দুই অবুঝ শিশু এখনও তাদের মায়ের অপেক্ষায় আছে মা পরোটা নিয়ে আসবে। কিন্তু তারা জানে না তাদের মা আর কোনদিন ফিরে আসবে না। এ করুণ কাহিনী জানতে গতকাল রবিবার সকালে এ প্রতিনিধি যান নিহত ইয়াছমিন আক্তারের গ্রামের বাড়ি গোকর্ণ গ্রামে। সেখানে গিয়ে দেখেন তার অবুঝ দুই শিশু নানী শাহানা আক্তারের কোলে বসে আছে এবং মা ইয়াছমিনের জন্য অপেক্ষা করছে। কখন আসবে তাদের মা। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে ওই গ্রামের ইয়াছমিনের দাদা ও দাদির কবরের পাশে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। ইয়াছমিনের বাবা এখলাছ মিয়া জানান, ঘাতক জুয়েল ও তার পরিবার তাদের মেয়েকে যৌতুকের জন্য পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নিজেরা বাঁচার জন্য লাশ রান্না ঘরের জানালায় উড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। নিহতের মা শাহানা জানান, ঘটনার পরপরই জুয়েল তাকে ফোন করে বলে তোর মেয়েকে মেরে ফেলেছি, লাশ নিয়ে যা। আমাকে আর পাবে না।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকালে পোদ্দার বাড়ির রিভার ভিউ খান ম্যানসনের ফ্ল্যাট বাসার ২য় তলা থেকে ইয়াছমিনের লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। পরে ময়ানতদন্ত করে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করে। প্রায় ৩ বছর আগে পূর্ব তেঘরিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র রাজমিস্ত্রী জুয়েল মিয়া (৩০) এর সাথে ইয়াছমিনের বিয়ে হয়। এরপর থেকেই তাকে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করে জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন। সদর থানা পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত জুয়েলকে খুঁজছে পুলিশ। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।