শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের হলফনামা
এসএম সুরুজ আলী ॥ আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র পদে ৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪ জন ও কাউন্সিলর পদে ৩৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্রতিটি এলাকা। নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে নিজেদের আয়-ব্যয় সম্পদের বিবরণ ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হয়েছে। প্রত্যেক প্রার্থী নোটারী পাবলিকে হলফনামার মাধ্যমে নিজেদের যেসব তথ্য নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন তা দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হবে। আজ তুলে ধরা হলো আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোঃ মাসুদউজ্জামান মাসুক ও বিএনপি’র মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র এফ এম আহমেদ অলি’র হলফনামার তথ্য।
মাসুদউজ্জামান মাসুক ঃ মাসুদউজ্জামান মাসুক শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার চরনূর আহমেদ (নিজগাঁও) গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আতর আলী ও জরিনা বেগমের ছেলে। হলফনামায় তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর নামে অতীতে কোন মামলা ছিল না, বর্তমানেও তাঁর নামে কোন মামলা নেই। তাঁর বার্ষিক আয় ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি থেকে ১০ হাজার, বাড়ি ভাড়া থেকে ৫০ হাজার, ব্যবসা থেকে ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া কাউন্সিলর হিসেবে বার্ষিক সম্মানী পান ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৪৫ হাজার টাকা আর ব্যাংকে জমা ১ হাজার টাকা। বাসায় রয়েছে টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন ১টি করে। এছাড়াও বাসায় রয়েছে ৩টি খাট, ড্রেসিং টেবিল ১টি, ডাইনিং টেবিল ১টি, ৬টি চেয়ার। স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার রয়েছে কৃষি ২০ শতক ভূমি, অকৃষি ৮ শতক। তার স্ত্রীর রয়েছে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার। জনতা ব্যাংক শায়েস্তাগঞ্জ শাখায় তার ১০ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। যা এ বছরের জুলাই মাসে উত্তোলন করা হয়েছিল। তাঁর মনোনয়নপত্র সনাক্ত করেন অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুর রহিম।
এফ এম আহমেদ অলি ঃ এফ এম আহমেদ অলি শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি পৌর এলাকার লেঞ্জাপাড়া পূর্ব-পশ্চিম এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন পৌর চেয়ারম্যান মরহুম জাহির আহমেদ ময়না মিয়া ও হাজেরা খাতুনের ছেলে। হলফনামায় তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ৯ম শ্রেণী উত্তীর্ণ উল্লেখ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে ১০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২টি মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ রয়েছে। ৪টি মামলা বিচারাধীন। ১টির পুলিশ রিপোর্ট শুনানির জন্য রয়েছে। এছাড়াও ১টি মামলা পিবিআইতে তদন্তাধীন ও আরেকটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারী রয়েছে। অতীতে ৩টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। ১টি থেকে অব্যাহতি ও ১টি নিষ্পত্তি হয়েছে। তাঁর বার্ষিক আয়ের কোঠা শূন্য দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ তাঁর বার্ষিক আয় নেই। ব্যাংকে তাঁর নামে জমা রয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৮৫ টাকা ৯৫ পয়সা। ব্যাংকে তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার ৬২৬ টাকা ৫ পয়সা। তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ২৮ হাজার টাকা। তাঁর রয়েছে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার। এছাড়া বাসায় একটি ১টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, ৪টি ফ্যান, ২টি মোবাইল ফোন, ৩টি খাট, ১ সেট সোফা, ১টি আলনা, ১টি ডাইনিং টেবিল ও ১টি আলমিরা। তাঁর স্ত্রীর ১টি মোবাইল ফোন রয়েছে। স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজের পাকা ঘর রয়েছে ১টি। যৌথ মালিকানায় কৃষি জমি ১৩.৯১ একর, অকৃষি ১০৫ শতক। যৌথ মালিকানায় আরো ১৮০ শতক জায়গা রয়েছে, যার মূল্য দেখিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা। যৌথ সম্পত্তির ৪৮/৭ অংশের মালিক এফএম আহমেদ অলি।