স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আব্দুস সালাম (৫৫) নামে এক নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আব্দুস সালাম ওই গ্রামের আব্দুল মোতালিবের ছেলে। তিনি একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুকুরের নৈশ প্রহরীর দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। সোমবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। পাওনাদারের চাপ সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এ নিয়ে নানা আলোচনা দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। আব্দুস সালামের ভাই আবুল কালাম ও স্ত্রী আমেনা খাতুন জানান, একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়েছিলেন সালাম। পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মোহাম্মদ আলী সাদা স্ট্যাম্পে সই নেন। পাওনা টাকার জন্য প্রায়ই মোহাম্মদ আলী আব্দুস সালামকে মানসিক নির্যাতন করতেন। রবিবারেও তার স্ত্রী আমেনা খাতুনকে টাকার জন্য শাসিয়ে যান মোহাম্মদ আলী। তবে মোহাম্মদ আলী তার পাওনা টাকা আব্দুস ছালাম পরিশোধ করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে আব্দুস সালামের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে কাশিমনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মুর্শেদ আলম এবং এসআই মুখলেছুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে ইন্সপেক্টর মুর্শেদ আলম বলেন, চিকন একটি গাছের সঙ্গে আব্দুস সালামের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। তার মৃত্যু রহস্যজনক। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।
সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সালামকে মানসিক নির্যাতন সইতে হচ্ছিল
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com