স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গের গৃহবধু শাহেনারা আক্তারকে সৌদি আরবে পাচারের অভিযোগে ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বানিয়াচঙ্গ উপজেলার শরীফ খানি গ্রামের মোঃ আব্দুল কাদির মিয়া বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক সুদীপ্ত দাস তা তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য হবিগঞ্জের পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন কর্মকর্তার নিকট পাঠিয়েছেন। মামলার আসামীরা হচ্ছে বানিয়াচঙ্গ উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের মৃত ওয়াহাব উল্লার পুত্র বাবুল, সদর উপজেলার নিতাইরচক গ্রামের সিকান্দর আলী তালুকদারের পুত্র জহুর আলী তালুকদার ও ঢাকা পল্টন এলাকার রূপসী বাংলা ওভারসীজ এর স্বত্ত্বাধিকারী আক্তার মিয়া। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত বছরের ১ অক্টোবর হতে ৩১ অক্টোবর তারিখের মধ্যে তার স্ত্রী শাহেনারা আক্তারকে উচ্চ বেতনে গৃহকর্মীর চাকুরী দেয়ার কথা বলে প্রলুব্ধ করে সৌদি আরব পাঠিয়ে দেয় আসামীরা। এ জন্য আসামীরা বাদীর স্ত্রীর নিকট হতে নগদ ৮০ হাজার টাকা নেয়। এক শিশু সন্তানের মা শাহেনারা আক্তার সৌদি আরব যাওয়ার পর হতে তার স্বামীর সাথে কোনভাবে যোগাযোগ করতে পারছিল না। এক পর্যায়ে গত কয়েকদিন পূর্বে মোবাইল ফোনে সে স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে সৌদি আরবে তার নিয়োগকর্তার বাড়িতে অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথা জানিয়ে তাকে উদ্ধার করার আকুতি জানায়। এ খবর পেয়ে মামলার বাদী ঢাকায় জনশক্তি কর্মসংস্থান ব্যুরোর মহাপরিচালক বরাবরে তার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন। ইতিমধ্যে তিসি আসামীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা শাহেনারা আক্তারকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আরো দেড় লাখ টাকা দাবি করে নানা টালবাহানা করতে থাকে। এতে বাদী আশঙ্কা করছেন আসামীরা তার স্ত্রীকে কোন মানব পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এ কারণে তার স্ত্রীর জীবনাশঙ্কা রয়েছে।
সৌদি আরবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথা জানিয়ে তাকে উদ্ধারের আকুতি জানান শাহেনারা
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com