মোঃ আলাউদ্দিন আল রনি ॥ মাধবপুর উপজেলার চক রাজেন্দ্রপুর গ্রামে বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরা হলো না ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাহাত (৬) ও তার চাচাতো বোন সানিয়া’র (৬)। বাড়ি ফেরার পথেই পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বেলা আড়াইটায় স্বজনরা লাশ উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। রাতে নিহত ভাই-বোনের জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের হরষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র চক-রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আশরাফ আলী বাবুল মিয়ার ছেলে মোঃ রাহাত মিয়া (৬) ও তার চাচাতো বোন একই বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী হুমায়ুন কবিরের মেয়ে সানজিদা কবির সানিয়া (৬) বিদ্যালয়ে যায়। ক্লাস শেষে বেলা প্রায় সোয়া ১টার দিকে সহপাঠিতের সাথে হরষপুর স্টেশন বাজারে তাদের পিতার দোকানে যায়। সেখানে তারা দোকান থেকে মজা খেয়ে প্রায় ২টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। দীর্ঘক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা বাড়িতে ফিরে না গেলে স্বজনরা তাদের খুঁজতে বের হয়। বেলা প্রায় আড়াইটার দিকে রাস্তার পাশে একটি পুকুরে তাদের লাশ ভাসতে দেখে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। তাদের মৃত্যু সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও তার বিদ্যালয়ের সহপাঠিরা বাড়িতে ভীড় জমায়। এ সময় তাদের কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।
ধর্মঘর ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামাল জানান- এটি একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
হরষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জায়েদা বেগম জানান- আমাদের বিদ্যালয় এক শিফটের হওয়ায় দুপুর ১টার মধ্যে ১ম শ্রেণি ছুটি হয়ে যায়। রাহাত ও সানিয়া প্রতিদিনই এক সঙ্গে স্কুলে আসত আবার ছুটি হলে এক সঙ্গে বাড়ি যেত। আজ তারা এক সঙ্গে স্কুলে আসে এবং ছুটি হলে তারা এক সঙ্গে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। তিনি বলেন, পথে পুকুরের কাছে একটি বড়ই গাছ আছে। তার ধারণা পানি থেকে বড়ই কুড়াতে গিয়েই হয়তো তারা পানিতে ডুবে মারা গেছে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com