স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে চোরের সর্দারনি হিসেবে পরিচিত কারাবন্দী মর্জিনা আক্তারকে (৩০) রিমান্ডে এনেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে মর্জিনাকে সদর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মর্জিনার কাছ থেকে শহরের চুরির ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে কিছু জানাচ্ছে না। তার বক্তব্য যাচাই-বাছাই করে চোরাই মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারি শহরের যশেরআব্দা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ভিংরাজ মিয়ার স্ত্রী মর্জিনাকে আটক করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে শহরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে চুরি করা স্বর্ণালংঙ্কার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কোর্টে পাঠিয়ে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত মর্জিনার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ১৩ জানুয়ারি ১৬৪ ধারায় আদালতে মর্জিনার সহযোগী শিবলু মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে চুরির তথ্য উঠে আসে। শিবলু জানায় মর্জিনার বাসা থেকে তার নেতৃত্বে ১৫ জন ছিচকে চোর হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে চুরি করে আসছে। আর মর্জিনা কমিশন হারে তাদের বেতন দিয়ে থাকে। স্থানীয়রা জানান, স্ত্রী মর্জিনা মাদক ব্যবসাসহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়। কিন্তু আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় এসব ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে সে। সম্প্রতি শহরের কলেজ কোয়ার্টার এলাকায় বুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তার হোসেন বেনুর বাসাসহ আইনজীবী ও পুলিশের বাসায় কয়েকবার চুরি হয়। এ নিয়ে সদর থানা পুলিশের সাড়াশি অভিযানে কয়েকজন আটক হয়। এদের মধ্যে রুবেল, রনি, ফারুকসহ ৬ জন রয়েছে।