চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ করোনা ভাইরাস সনাক্তে দেশের বিভিন্ন সীমান্তের স্থল বন্দরে সতর্কতা জারি করা হলে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দরে নেই কোন সতর্কতা। এ বন্দর দিয়ে মাসে গড়ে ৩শ লোক ভারতে আসা যাওয়া করলেও গতকাল রবিবার পর্যন্ত বন্দরে পৌছেনি কোন সতর্কবার্তা। নেই কোন পরীক্ষার ব্যবস্থা। বসানো হয়নি কোন মেডিকেল টিম। ফলে সীমান্ত এলাকা চুনারুঘাট উপজেলার ৪ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাস আক্রান্তের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বাল্লা স্থল শুল্ক বন্দরের রেকর্ড অনুযায়ী, উক্ত সীমান্ত দিয়ে প্রতি মাসে গড়ে ৩শ মানুষ ভারতে আসা যাওয়া করে। এ হিসেবে বছরে সাড়ে ৩ হাজার মানুষ বাংলাদেশ ভারতে আসা যাওয়া করে। কিন্তু ভারত থেকে মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন কোন যন্ত্রপাতি কিংবা মেডিকেল টিম নেই। সম্প্রতি চীনে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের কারণে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দর ও স্থলবন্দরে সতর্কতা এবং মেডিকেল টিম বসানো হলেও বাল্লা স্থলবন্দরে রবিবার পর্যন্ত দেওয়া হয়নি কোন সতর্কাবার্তা কিংবা বসানো হয়নি কোন মেডিকেল টিম। ফলে এ বন্দর দিয়ে যারা দেশে প্রবেশ করছেন, তাদের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ভারতীয় লোকজন আক্রান্ত হলে তা উপজেলায় এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া এ বন্দর দিয়ে প্রতি মাসে শতাধিক রোগী ভারতে চিকিৎসার জন্য গমন করেন এবং ফেরত আসেন। ভারতে গিয়ে আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন উপজেলাবাসী।
এ বিষয়ে বন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই আল আমিন জানান, আমরা এ বিষয়ে কোন সতর্কবার্তা কিংবা ম্যাসেজ পাইনি। আমাদের জানানো হয়নি কোন মেডিকেল টিম কিংবা দেশে আসা কোন ব্যক্তির স্বাস্থ্য বিষয়ে কোন তথ্য লিপিবদ্ধ করার।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সতর্কতা থাকা কিংবা বন্দরের কোন মেডিকেল টিম পাঠানোর বিষয়ে এখনো আমরা কোন নির্দেশনা পাইনি। তবে আমরা সতর্কাবস্থায় রয়েছি।