মৌমিতা দাস একজন চিত্র শিল্পী। বর্তমানে সে বৃন্দাবন সরকারি কলেজে মানবিক বিভাগে অধ্যয়নরত। মাতৃছায়া কেজি এন্ড হাই স্কুল থেকে লেখাপড়ার যাত্রা শুরু। এরপর পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩য় থেকে এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করে সে। এসএসসি পাশ করার পর উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য বৃন্দাবন সরকারি কলেজে ভর্তি হয়। ছোট বেলা লেখাপড়ার পাশাপাশি সে আঁকাআকি শুরু করে। একসময় সে নিজেকে আরো শাণিত করে নিতে চিত্র প্রশিক্ষক যীশু রায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নেয়। ৪র্থ শ্রেণিতে লেখাপড়ার সময় থেকে সে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শুরু করে। এ পর্যন্ত সে শতাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সত্তরের অধিক পুরস্কার লাভ করেছে। সে ২০১৬ সালে জাগ্রত ছাত্রসমাজ ইসকন বাংলাদেশ আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সারা দেশের মধ্যে ৪র্থ স্থান লাভ করে। সে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক পর্যায়ে ১ম, জেলা পর্যায়েও ১ম স্থান লাভ করে। এছাড়াও জাগ্রত ছাত্র সমাজ ইসকন বাংলাদেশ, লোকনাথ সেবা সংঘ, সুরবিতান ললিতকলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন, বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, শারদীয় দুর্গোৎসব জাগ্রত পূজা কমিটি, লোকনাথ সেবা সংঘ, হবিগঞ্জ সাহিত্য পরিষদ, শিশু একাডেমী হবিগঞ্জ, জেলা পরিষদসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে সরকারিভাবে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে বরাবরই ১ম স্থান অধিকার করে আসছে। যদিও কয়েকটিতে ২য় স্থান অর্জন করে মৌমিতা। শুধু প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার প্রাপ্তিই নয় বর্তমানে সে হবিগঞ্জ সাংস্কৃতিক পরিষদে চিত্র প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছে। পাশাপাশি সে অনলাইন ভিত্তিক সাংস্কৃতিক চর্চাও করে থাকে। যা ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। মৌমিতা জানায়, দর্শকদের লাইকের ভিত্তিতে এ ক্ষেত্র থেকে আয় করাও সম্ভব।
মৌমিতার অবসর সময় কাটে বিশ্রাম নিয়ে যদিও লেখাপড়া আর চিত্রাংকনের ফাঁকে এ সুযোগ থাকে কম। তার প্রিয় খাবার কোল্ড ড্রিংকস, প্রিয় ফল আম, প্রিয় ফুল গোলাপ। বিভন্ন অনুষ্ঠানে সে শাড়ি পড়তেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
মিতু দাস আর মৌমিতা দাস তারা দুই বোন। সংসারে কোন ভাই না থাকায় স্বভাবতই মা বাবার চোখের মনি দু’বোন। আর তাদের দু’বোনকে নিয়েই মা বাবার স্বপ্ন। মিতু বড় আর মৌমিতা ছোট। মিতু বর্তমানে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে লেখাপড়া করছে। তার পিতা সুধাংশু দাস মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট আর মা রুনু দাস একজন আদর্শ গৃহিণী। যুক্তি তর্কে মৌমিতার আগ্রহ বেশি। তাই সে ভবিষ্যতে একজন স্বনামধন্য আইনজীবী হতে চায়। এজন্য সে সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com