নিহতের পরিবারের দাবি আলমগীর মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মৃতদেহ নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ফেলে রাখা হয়েছে
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের ছোট ভাকৈর গ্রামের আলমগীর মিয়া নিহতের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের কাজিরবাজার এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউপি চেয়ারম্যান আশিক মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ছোবা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ সিলেট বিভাগের আহবায়ক মোঃ আব্দুল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট শাহিদ মিয়া, জাকির মিয়া, শহিদুল ইসলাম, এখলাছুর রহমান আজাদ, ইয়াকুব মিয়া, মুরাদ আহমদ, বিলাল আহমদ, নিহত আলমগীরের মা রাবেয়া বেগম, স্ত্রী মুর্শেদা বেগম ও তিন কন্যা সন্তান।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন- আলমগীর মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার মৃতদেহ নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ফেলে রাখা হয়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা। একই সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সহ¯্রাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে নিহত আলমগীরের ৩ সন্তান ‘আমার বাবা কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ সম্বলিত প্লে কার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে পিতা হত্যার বিচার দাবি করেন। এ সময় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি দিবাগত রাতে নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ সড়কের নিজ আগনা গ্রামের কাছে আঞ্চলিক সড়কের উপর আলমগীর মিয়ার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে আলমগীর মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছে তাঁর পরিবার ও এলাকাবাসী। আলমগীর মিয়া বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের ছোট ভাকৈর গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদের পুত্র।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। আশা করি অচিরেই মূল রহস্য উদঘাটন হবে।