চেয়ারম্যান মেম্বারদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বললেন

হবিগঞ্জ শহরে খোয়াই নদীর ব্রীজের পাশে মোরগের দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হবে
রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং থেকে ॥ হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেছেন, যারা সমাজের চিহ্নিত চাঁদাবাজ, লাঠিয়াল, মাদক ব্যবসায়ী ও নানা অপকর্মের সাথে জড়িত তাদেরকে চারিত্রিক সনদপত্র দেয়া যাবে না। তিনি রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বানিয়াচং ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদে আকষ্মিক সফরে গিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, অপরাধীরা যতো বড় শক্তিশালীই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বর্তমান সরকার অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। যুব সমাজকে রক্ষা করতে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গী নির্মূলের বিকল্প নেই। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ থেকে মাদক নির্মূল, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, নাশকতা, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব। সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করতে সকল অভিভাবককে সচেতন থাকতে হবে। এলাকায় কোনো ধরণের অপরাধ সংঘটিত হলে সাথে সাথে থানায়, ইউপি চেয়ারম্যান এমনকি ইউএনওকে খবর দেয়ার আহবান জানান জেলা প্রশাসক। তবে বিশেষ প্রয়োজনে যদি চারিত্রিক সনদ দিতেই হয় তাহলে সনদপত্রে তাদের অপরাধের ধরণ উল্লেখ করে দিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকের প্রশ্নের জবারে জেলা প্রশাসক বলেন- হবিগঞ্জ শহরে খোয়াই নদীর পুরাতন ব্রীজের দক্ষিণ পাশের উভয়দিকে মোরগের দোকানগুলো অচিরেই উচ্ছেদ করা হবে। পাশাপাশি সমাজের চিহ্নিত দাঁঙ্গাবাজ, সুদখোর, লাঠিয়াল, মাদক ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দেয়ার জন্য বলেন। এর আগে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মতিউর রহমান খান, ইউপি সচিব ফয়সল আহমেদ, রায়েরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক রায়হান উদ্দিন সুমন, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গির আলম, কামাল মিয়া, লালু মিয়া, নুরুল ইসলাম, বাবলু মিয়া, মহিলা সদস্যা, আম্বিয়া বেগম, হেনা আক্তার দিনা, উদ্যোক্তা আনসার আলী প্রমুখ। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান পরে ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার ও চৌকিদারদের মধ্যে শীতের কম্বল বিতরণ করেন।