বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে জি কে গউছ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা করে না। কারণ জনগণের ভোটে এই সরকার নির্বাচিত হয়নি। আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন একটি রাজনৈতিক দল। এই দলটি বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি কায়েম করেছে। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্র হরণ করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে, জনগণের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া এ দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না।
তিনি রবিবার দুপুরে শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট না দেয়ায় এবং জামিন শুনানি পিছিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হলে চিড়াখানা সড়কের মুখে যাওয়া মাত্র পুলিশ মিছিলটি থামিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে জি কে গউছের বাকবিতন্ডা হয়।
জি কে গউছ বলেন- খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত না করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না। জেল জুলুম আর মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশ ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে। বিএনপি কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, অপরাজনীতি করে না। তাই বিএনপিকে মানুষ পছন্দ করে। বাংলাদেশের মানুষ যদি কোন দিন প্রতিবাদ করার সুযোগ পায় তাহলে আওয়ামী লীগের সকল অপকর্মের বদলা নিবে।
জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা রফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল এ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সিনিয়র সহ সভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন প্রমুখ।