স্টাফ রিপোর্টার ॥ বোন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করায় হবিগঞ্জ শহরের নরসিংহ জিউর আখড়া রোড এলাকার ব্যবসায়ী ভাইয়ের বাসায় হামলা চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের মারপিট, ভাংচুর ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ওই বাসার এক মহিলা আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
হামলার শিকার হওয়া পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, শহরের শ্যামলী এলাকার আব্দুল আওয়ালের কাছে হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদ এলাকার মৃত আব্দুল মতলিবের ছেলে কিতাব আলী, আব্দুর রহিম ও একই এলাকার রাজু মিয়া গং চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় তারা। ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কিতাব আলী গং তাদের লোকজন নিয়ে আব্দুল আওয়ালের বাসায় হামলা চালায় এবং বাসায় অবস্থানরত তার স্ত্রী-সন্তানদের মারধোর করে। এ সময় তারা আব্দুল আওয়ালের মেয়ের গলা থেকে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়াও তার বাসার শোকেসের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাদের শোর চিৎকার শোনে বাসার মালিক সেলিম আহমেদ এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আব্দুল আউয়ালের স্ত্রী নাজমুন্নাহার হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগ দায়ের করাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে আব্দুল আউয়ালের বানিয়াচং উপজেলার কবিরপুর গ্রামস্থ বাগান বাড়ি থেকে গরু ও ধান চাল লুট করে নিয়ে যায় কিতাব আলী গং। সন্ধ্যায় আব্দুল আউয়ালের স্ত্রী নাজমুন্নাহার মামলা করার জন্য হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন পৌরসভা রোডে এক আইনজীবী কাছে এলে কিতাব আলী গং তার উপর আবারও হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। অপরদিকে রাত ৯টার দিকে আবারও কিতাব আলী গং হবিগঞ্জ শহরে নরসিংহ জিউর আখড়া রোড এলাকার আব্দুল আউয়ালের শ্যালক এমএ হায়দার মিজু’র বাসায় গিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং বাসায় শোকেস ভাংচুর করে। এ সময় বাসায় থাকা এমএ হায়দার মিজুর বোন নাজমুন্নাহার বিজু’র উপর হামলা চালায় এবং তার হাতে আঘাত করে। খবর পেয়ে মিজু বাসায় গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর জাহির উদ্দিন, হবিগঞ্জ আইনজীবী সমিতিরি সাবেক সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামসহ এলাকার মুরুব্বীয়ান ঘটনাস্থলে যান। এ সময় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই সাইদুর রহমান সেখানে গিয়ে বাসায় ভাংচুরের দৃশ্য দেখতে পান।
এ ব্যাপারে আহত নাজমুন্নাহার বিজু জানান, কিতাব আলী গং আমাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার জন্য একের পর পর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি থানায় অভিযোগ করায় সে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। গতকাল কিতাব গং আমাদের বাগান বাড়ি লুটপাট করেছে। এ অবস্থায় রাতে আমার ভাইয়ের বাসায় এসে আশ্রয় নিলেও তারা সেখানে এসেও আমার উপর হামলা চালায় এবং আমাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। তাড়া বাসায় শোকেস ভাংচুর করে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমাদেরকে হত্যা করার হুমকি দেয়। কিতাব আলী গংদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।