দামের কারণে শরীফ স্টোর ও নাজমুল স্টোরসহ বড় ব্যবসায়ীরাও পেঁয়াজ বিক্রি ছেড়ে দিয়েছেন

মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ হবিগঞ্জ শহরে মুদীমাল দোকানে খুচরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। কিন্তু তারপরও অনেক দোকানেই পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না।
হবিগঞ্জ শহরের সবুজবাগ এলাকার মেসার্স জাহাঙ্গীর স্টোরের কর্মচারি মোঃ আবিদ আলী জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি দোকানে বিক্রির জন্য চৌধুরী বাজারের এক পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২১০ টাকা দরে ২০ কেজি পেঁয়াজ ক্রয় করে এনেছেন। সেই পেঁয়াজ ২২০ টাকা কেজি দরে তিনি বিক্রি করছেন। তাদের একজন নিয়মিত ক্রেতা রয়েছেন তাকে ১০ কেজি পেঁয়াজ দিতে হবে। তাই বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে আনতে হয়েছে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় শহরের চৌধুরী বাজার কাঁচামাল হাটা ঘুরে দেখা যায় বেশ কয়েকটি মুদীমালের দোকানে বিক্রির জন্য পেঁয়াজ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তা কয়েক কেজির মতো হবে। দামও ২শ’ টাকার উপরে।
শহরের বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত শরীফ স্টোর ও নাজমুল স্টোরে গিয়ে পেঁয়াজ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ক্রেতারা ওই দুটি দোকানে জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন পেঁয়াজের দাম এত চড়া যে, পেঁয়াজ বিক্রি করে তারা কোন ঝামেলায় পড়তে চান না।
গতকাল সন্ধ্যায় শহরের সবুজবাগ এলাকার সেতু ট্রাভেলস্ এর স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ সোহেল ২২০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন। তিনি জানান, কয়েকদিন ধরেই পাল্লা দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ক্রেতা দাম জিজ্ঞেস করার পরও পেঁয়াজ না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে যায়। এরপর থেকে দাম না কমে প্রায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। যদিও সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মায়ানমারসহ বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রিসহ সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। কিন্তু সরকারের কোন পদক্ষেপই দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। প্রায় প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।