সড়কগুলো দিয়ে রাতের আঁধারে মাদক পাচারের অভিযোগ

এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এলাকা থেকে গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ প্রধান সড়ক থেকে বাইপাস সড়কে একাধিক সংযুক্ত ছোট রাস্তা থাকার কারণে দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অপর দিকে ওই সড়কগুলো দিয়ে রাতের আঁধারে মাদক পাচার হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, শহরের ঈদগাহ এলাকা থেকে গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ প্রধান সড়কে অল্প কিছু স্থান পর পরই ছোট সংযোগ রাস্তা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব রাস্তা দিয়ে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। রাস্তাগুলোর সামনে ট্রাফিক সিগন্যাল নেই। নেই কোন ডিভাইডার। যখন খুশি তখনই ছোট রাস্তাগুলো দিয়ে পরিবহন আসা যাওয়া করছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অত্যধিক। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে রাতের আঁধারে এসব রাস্তা দিয়ে মাদক পাচার হয়। সম্প্রতি এসব রাস্তা দেখে সরকারি এক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওই সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তাগুলো নির্মিত হয়েছে। এগুলোতে যখন খুশি পরিবহন প্রবেশ করছে এবং লোকজনও তা দিয়ে চলাচল করছে। রাস্তার সংখ্যা কমিয়ে রাস্তাগুলো নির্ধারিত স্থানে বড় করে নির্মাণ করলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকবে না বলে তিনি মনে করেন। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান সড়কের কেন্দ্রীয় ঈদগাহের সামন থেকে বাইপাস রাস্তায় ১টি সংযোগ রাস্তা রয়েছে। পোদ্দার বাড়ি পেট্রোল পাম্পের সামনে সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) সামনে একটি রাস্তা রয়েছে। পাম্পের ভিতর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পরিবহন বাইপাস রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। এর অল্প কিছু দূরে পোদ্দার বাড়ি হয়ে আরেকটি সড়ক বাইপাস হয়ে বড় বহুলা ও আনন্দপুর গেছে। এরপর চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন সড়কে রয়েছে সংযোগ সড়ক। পশ্চিম ভাদৈ জামে মসজিদ পাঠাগার এলাকা থেকে আরেকটি সড়ক বাইপাস রাস্তায় গিয়ে মিলিত হয়েছে। গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত আরো ২/৩টি সংযোগ রাস্তা রয়েছে।
পোদ্দার বাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী জিতেন্দ্র বর্মন জানান, প্রধান সড়ক থেকে বাইপাস রাস্তার সংযোগ সড়কগুলো ছোট। এগুলো দিয়ে প্রায় সময় বড় বড় পরিবহন চলাচল করে। কিন্তু ডিভাইডার না থাকার কারণে সাধারণ যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে সংযোগ সড়কগুলো দিয়ে ছোট বড় অনেক দুর্ঘটনাই ঘটেছে। পরিকল্পিতভাবে সংযোগ সড়কগুলো নির্মাণ করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকতো না।
এ ব্যাপারে গোপায়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার হোসেন জানান, ফাড়ি রাস্তাগুলোর মধ্যে দু’য়েকটি পৌরসভার ও অন্যগুলো গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদের। আবার কিছু রয়েছে অনেকের বাসা-বাড়িতে যাওয়ার নিজস্ব রাস্তা। তিনি বলেন, পরিকল্পিত ভাবে রাস্তা নির্মাণ সবাই চান। আমার দাবি পরিকল্পিত ভাবে চলাচলের রাস্তাগুলো নির্মিত হোক।
হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সজীব আহমেদ জানান, সংযোগ রাস্তাগুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগের নয়। কেউ অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তা নির্মাণ করলে তো তা আমরা চাইলে বন্ধ করতে পারিনা। পুলিশ ও জেলা প্রশাসন চাইলে অপ্রয়োজনীয় রাস্তাগুলো বন্ধ করে দিতে পারেন। এ দিকে সচেতন মহলের দাবি সাধারণ জনগণের নিরাপদ চলাচলের স্বার্থে সংযোগ রাস্তার সংখ্যা কমিয়ে নিরাপদ রাস্তা নির্মাণ করা হোক।