স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন সংস্কৃতি জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে যারা সম্মাননা দেয় তারা নিজেরাও সম্মানিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে ১৫ গুণী শিল্পীকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি আবু জাহির আরো বলেন, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ হবিগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই গুণী শিল্পী সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেই সম্মানিত হয়েছেন। পাশাপাশি হবিগঞ্জের সরকারি জায়গা উদ্ধারে বিদায়ী এই জেলা প্রশাসকের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-সচিব নুরুল ইসলাম, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জে গত ৩ বছরে কণ্ঠসঙ্গীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, চারুকলা, যন্ত্রসঙ্গীত, ফটোগ্রাফি, আবৃত্তি ও লোক সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখায় ১৫ গুণি শিল্পীকে শিল্পকলা সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।
এর আগে শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে ‘গীতিকবি মাহমুদ মুরাদ মঞ্চ’ উদ্বোধন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি মাহমুদুল কবীর মুরাদ। এ সময় এই মঞ্চের প্রাসঙ্গিকতা ও হবিগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে জেলা প্রশাসকের ভূমিকার প্রশংসা করে বক্তৃতা করেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী। মোনাজাত করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ।
প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ একজন গুণি গীতিকার। তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গীতিকবি মাহমুদ মুরাদ নামে পরিচিত। তাঁর নামেই মুক্তমঞ্চের নামকরণ করা হয়েছে।
গুণী শিল্পী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এমপি আবু জাহির
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com