চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে অবহেলিত রহমতাবাদ, বাঘারুক, কালাইওনা, চান্দপুর বস্তির আংশিক, ইনাতাবাদ-জুড়িয়া, ময়নাবাদ ও বড়বাড়ি গ্রামের প্রায় ৭ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা সংস্কারের অভাবে বড় বড় গর্তে পানি জমে কাঁদায় পরিণত হয়েছে। কাঁচা রাস্তা দিয়ে এলাকার জনসাধারণের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণ না হওয়ায় বড় বড় গর্তে ভরপুর রয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য কারো সুনজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দেওরগাছ ইউনিয়নের জুড়িয়া-বড়বাড়ি থেকে ইনাতাবাদ হয়ে ময়নাবাদ প্রবেশ করেছে। বর্ষার সময় এই রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। এই গর্তের রাস্তা দিয়ে ভ্যান-রিকশা সিএনজি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। বড় কোনো যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই। এই রাস্তা দিয়ে অগ্রনী উচ্চ বিদ্যালয়, ডিসিপি হাই স্কুল, চুনারুঘাট সরকারি কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনই যাতায়াত করতে হয়। কাঁচা রাস্তা দিয়ে মফিজ উদ্দিন চৌধুরী আলিয়া মাদ্রাসা, বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে প্রতিদিন স্কুল কলেজে যেতে হয়। এছাড়াও কুতুবদিয়া খানকা শরীফ, মধ্য বড়বাড়ি জামে মসজিদ, কাজী বাড়ি জামে মসজিদ, জুড়িয়া পুরা বাড়ি জামে মসজিদের মুসল্লিদেরও এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। ইনাতাবাদ, জুড়িয়া ও বড়বাড়ি এই তিনটি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের চলাচলের জন্য আর কোন বিকল্প রাস্তা নেই। সবক’টি কাঁচা রাস্তা দিয়ে ওই এলাকার মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। ফলে দেওরগাছ ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষকে কষ্ট করেই চলাচল করতে হচ্ছে।
জুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী ইউসুফ আলী সাদ্দাম জানান, আমাদের গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। জনপ্রতিনিধিরা ভোটের সময় আসলে বলে পাকা করে দিবে। কিন্তু ভোট গেলে আর কে কার খবর রাখে। স্বাধীনতার পর জুড়িয়া ও ইনাতাবাদ রাস্তাটি কোন উন্নয়ন কাজ হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমাদের ৫টি গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি কাঁদার ফলে ওই দুই কিলোমিটার ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া জানান, সামনে অনুদান আসলেই রাস্তা পাকাকরণ করে দেয়া হবে। তেমন কোন বরাদ্দ না পাওয়ায় রাস্তা পাকাকরণ কাজ করতে পারছি না।
স্থানীয় তরুণ সমাজকর্মী রুমন ফরাজী বলেন, অজ্ঞাত কারণে আমরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। বর্তমানে কয়েকটি রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। তবে আমাদের বিমান প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্করের প্রচেষ্টায় দেওরগাছ ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ হবে বলে আমার বিশ্বাস।
একটু বৃষ্টি হলে গৃহবন্দি থাকতে ২০ হাজার মানুষকে
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com