বীজ ও কীটনাশক সমিতির সাধারণ সভায় প্যানেল চেয়ারম্যান নূরুল আমিন ওসমান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেখ হাসিনা সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। এ সরকারের আমলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেল। অথচ বিগত বিএনপি সরকারের আমলে সারের জন্য কৃষককে জীবন দিতে হতো। আর আজ শেখ হাসিনা সরকার অতি স্বল্পমূল্যে কৃষকদের দ্বারে দ্বারে সার পৌঁছে দিচ্ছে। তাই আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকল প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। তবেই শেখ হাসিনার সোনার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। গতকাল বুধবার সকালে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বীজ ও কীটনাশক ব্যবসায়ী সমিতি হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আমিন ওসমান এসব কথা বলেন। সমিতির সভাপতি মোঃ এমরান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ নূরুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক মোঃ তমিজ উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুল আমিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিকেআইবি হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ খান, আব্দুল্লা আল মামুন, ফারুক খান, মিজানুর রহমান মিজান, আলমগীর হক, বাবুল মিয়া, আবুল ফজল চৌধুরী, শামীম আহমেদ, শাহজাহান মিয়া, মীর মাসুম, জয়নাল আবেদীন, যোগেন্দ্র সরকার, কামরুল হাসান, ফয়সল আহমেদ, মহসিন খান, মহিউদ্দিন মিয়া, মিত্তাকুর মিয়া, মুবিন চৌধুরী, সুমন ঘোষ, তাজুল ইসলাম, নুর উদ্দিন, আলম মিয়া, কালাম মেম্বার, রাজীব রায়, হাফিজুর চৌধুরী, কবির মিয়া, নজরুল ইসলাম, মাওলানা হাফেজ হোসাইন আহমেদ, জাহিদ খাঁন প্রমূখ।
সভায় প্যানেল চেয়ারম্যান নূরুল আমিন ওসমান আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কৃষকরতœ শেখ হাসিনা কৃষি যন্ত্রপাতি বীজসহ কৃষির বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দেয়ায় দেশে কৃষির সাফল্য আজ বিশ^ স্বীকৃত। ইতোমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করায় দেশ আজ ক্ষুধামুক্ত হয়েছে। বর্তমান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্য। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভেজাল মুক্ত বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ এবং তা ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যারা মানুষের জীবন রক্ষাকারী খাদ্য উৎপাদনের প্রধান উপাদান বীজ কীটনাশক নিয়ে অনিয়ম করে তাদেরকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহিত করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে বীজ ও কীটনাশকে ভেজালের হার অনেক কমে আসবে।