রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং থেকে ॥ বানিয়াচং ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের কাগাপাশা বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদীর পাড়ের সরকারি ভূমি (মৌজা: কাগাপাশা, এসএ জেল-২৪, আরএস জেল নং-২১, এসএ খতিয়ান নং-১ আরএস খতিয়ান নং-১, এসএ দাগ নং-৪৬২৯, আরএস দাগ নং-৫২৪৯, মোয়াজি ৩ একর ১৭ শতক কুশিয়ারা নদী) দখল করে দোকান কোটা নির্মাণ করেছে উক্ত ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও শ্রমিক লীগের সাবেক আহবায়ক সায়েদ মিয়া ও তার সহযোগী ইউপি যুবলীগ সদস্য আবুবকর। প্রায় ৬ বছর যাবত তারা এই সরকারি ভূমি দখল করে ভাড়া দিয়ে অদ্যাবধি পর্যন্ত ভাড়ার লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করছে ওই দুই নেতা। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলে এদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। ফলে সরকারও হারাচ্ছে তাদের রাজস্ব।
অন্য একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে ম্যানেজ করে তারা এটা দখল করে দোকান কোটা নির্মাণ করেছেন।
জানা যায়, কাগাপাশা বাজার সংলগ্ন জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদীর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষ নৌকাযোগে এই জায়গায় এসে উঠেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সায়েদ মিয়া ও আবুবকর মিলে খেয়াঘাটে তথা নদীর পাড়ে দোকান কোটা বানিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন পূর্বে ওই এলাকার এক প্রবাসী আদালতে সায়েদ ও আবুবকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত তাদের সরকারি ওই ভূমিতে ভবিষ্যতে না যাওয়ার জন্য মুছলেকা রেখে ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে দুই নেতা এটি কর্ণপাত না করে জোর খাটিয়ে আগের মতোই তাদের পছন্দের লোকদের দোকান কোটা বানিয়ে দিয়ে মাসের পর মাস ভাড়া আদায় করে নিচ্ছেন। আর এ থেকে সরকার হারাচ্ছে তাদের বিপুল অংকের রাজস্ব।
এ বিষয়ে শ্রমিক লীগ নেতা সায়েদ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান- দোকান ঘরগুলো বানানো হয়েছে কাগজের জায়গাতে। এটা কোনো সরকারি জায়গা না।
বানিয়াচং ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী জানান- আমি কোনো কিছু জানি না। আমাকে কেউ বলেওনি। এখন আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।