মোছাঃ হ্যাপি আক্তার। হবিগঞ্জ শহরের জেকে এন্ড এইচকে হাই স্কুলের ১০ম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্রী। ৪র্থ শ্রেণিতে লেখাপড়ার সময় সে গানে প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ে। পহেলা বৈশাখে হবিগঞ্জ পৌরসভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রথম গান গেয়ে সবার প্রশংসা কুড়ায়। গানে নিজেকে আরো শানিত করে নিতে ওস্তাদ জালাল সিদ্দিকীর কাছে তালিম নেয়। ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়ার সময় সবাই তাকে বলে ‘তোমার কথা-কন্ঠ অনেক সুন্দর, তুমি আবৃত্তি ও বিতর্কে অনেক ভাল করবে’। সবার উৎসাহ অনুপ্রেরণায় আবৃত্তি ও বিতর্কে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে হ্যাপী। এতে কাঙ্খিত সাফল্যও আসে। ইতোমধ্যে কবিতা আবৃত্তি, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, একক বিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতায় অংশ নিয়ে কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করে হ্যাপী। ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতা ২০১৮, পুলিশ প্রশাসন আয়োজিত সহজে লিখা প্রতিযোগিতা ২০১৯, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় হবিগঞ্জ আয়োজিত দুর্নীতি বিরোধি উপস্থিত বক্তৃতা, সমকাল আয়োজিত জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব ২০১৯, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা, হবিগঞ্জ ডিবেটিং সোসাইটি, জাগ্রত তরুণ সংঘ, কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ স্কাউটস্ সিলেট অঞ্চলসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ১ম স্থানসহ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে। তার অবসর সময় কাটে গান, কবিতা আবৃত্তি, টিভি দেখা ও পথ শিশুদের সাথে। তার প্রিয় খাবার চটপটি, প্রিয় ফুল গোলাপ। আনন্দ উৎসবে সালোয়ার কামিজ পড়তেই সে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে। অসহায় মানুষদের পাশে দাড়াতে তার ভাল লাগে। হ্যাপী মাধবপুর উপজেলার মনতলা গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুর এলাকায় বসবাসকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আউয়াল ও মা মোছাঃ জমসেদা খাতুনের কন্যা। সে ভবিষ্যতে পুলিশ হতে চায়। তার বিশ^াস জীবনে কিছু করতে হলে শেখরে যেতে হবে। এমন শেখরে যেতে হবে যেটা তার জন্য প্রযোজ্য। তাই সে পুলিশ হয়ে অসহায় নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের সেবা করতে চায়। এজন্য সে সকলের দোয়া প্রার্থী।