মোহাম্মদ আলী মমিন
হবিগঞ্জ শহরের বুক চিড়ে বাহিত পরিত্যক্ত খোয়াই নদী থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নদীর অনন্তপুর অংশে এক্সকেভেটর চলাচল করতে না পারায় অবৈধ স্থাপনা ম্যানুয়ালী ভাংচুর করা হচ্ছে। একই এলাকায় ডিজিটাল সার্ভে শেষে নদীর ভূমিতে অবৈধ স্থাপনা নিশ্চিত হয়ে আলোচিত বহুতল ভবন আগামী সপ্তাহেই গুড়িয়ে দেয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা ভবন (চাঁদের হাসি) থেকে পুরাতন হাসপাতাল, সবুজবাগ, মুসলিম কোয়ার্টার এলাকায় নদীর ভূমির উপর অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে গুড়িয়ে দেয়া হবে। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে প্রকাশ, দু’হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলনের “হবিগঞ্জ খোয়াই রিভার সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে খোয়াই রিভারভিউ এলাকা থেকে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ইতিপূর্বে সকল অবৈধ স্থাপনা সফলভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং বিনোদন ও দৃষ্টিনন্দন “খোয়াই ঝিলমিল” লেক গড়ার লক্ষ্যে পরিত্যক্ত নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ জোরদার করা হচ্ছে।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ রানা জানান, এস.এ অনুযায়ী নদীর ১নং খতিয়ানের ভূমির সীমানা চিহ্নিত করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন নদীর ভূমি থেকে সকল প্রকারের স্থাপনা উচ্ছেদে বাধ্য। তিনি জানান, আজ চাঁদের হাসি হাসপাতালের পিছন থেকে এক্সকেভেটরে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলবে, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ স্যারের ইচ্ছা ও হবিগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা জেলা শহরকে পর্যটন নগরী গড়ে তোলা, শীত মৌসুমে “খোয়াই ঝিলমিল” প্রকল্পটির খনন কার্যক্রম যেকোন মূল্যে দৃশ্যমান করা।
এদিকে, হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডিই মোহনলাল সৈকত জানান, হবিগঞ্জ পৌরসভা অভ্যন্তরে “খোয়াই ঝিলমিল” বিনোদন ও দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দৃশ্যমান হবে উভয়পাড়ে ১৪ ফুট রাস্তা, সৌন্দর্য্য বর্ধনে গাছ লাগানোর স্থান, র্যালিংসহ দেয়াল নির্মাণ, ড্রেনের উপর ওয়াকওয়ে ও ব্লক দ্বারা ঢাল সংরক্ষণ করে স্থানে স্থানে ১০টি দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ এবং মধ্যের ১০০ ফিট মাটি খনন করা হবে। ডায়াবেটিস হাসপাতাল থেকে নোয়াবাদ-হরিপুর পর্যন্ত গড়ে ১৫০ ফুট প্রশস্ত প্রকল্পটির ডিজাইনও তিনি প্রদর্শন করেন।
এদিকে হবিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম ও সম্পাদক মোঃ জাহেদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি গত ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রেরণ করেছেন। স্মারকলিপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের স্থাপনা অক্ষুন্ন রেখে “খোয়াই ঝিলমিল” বিনোদন ও দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
পাঠকের কলাম
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com