হবিগঞ্জের মুখ রিপোর্ট ॥ ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম একদিনের ব্যবধানে অনেক বেড়ে গেছে। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে হবিগঞ্জ শহরের মুদীমাল দোকানগুলোতে খুচরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার নারকেল হাটার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হঠাৎ করেই আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত সকল প্রকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যার কারণে অভ্যন্তরিন বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পায়। এ কারণে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির উপর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ ঘোষণার সাথে সাথে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এক লাফে বেড়ে যায়। কারণ বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করে থাকে। তিনি আরো জানান, গতকাল ভারত সকল প্রকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে এ খবর জানতে পেরে তিনি বর্ডারে খোঁজ নিয়েছেন। সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ৮০/৯০ টাকা। গতকাল হবিগঞ্জেও ৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন শীঘ্রই ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির উপর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কত টাকায় গিয়ে ঠেকবে তা বলা মুশকিল। তাই পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিকল্প অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। তিনি জানান, বাজারে রসুনের মূল্য অনেক কমেছে। ভাল মানের রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, আর কম দামের রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০/১১৫ টাকা।
হবিগঞ্জ শহরের সবুজবাগ এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর জানান, গতকাল রবিবার সারাদিন তিনি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০/৬৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। সন্ধ্যায় খবর আসে চট্টগ্রামে পেঁয়াজের মূল্য ৭০/৭৫ টাকা। কারণ হিসেবে জানা যায় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় অস্বাভাবিকভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে হবিগঞ্জ শহরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা ১শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া এলসির রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা ও দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫/১৪০ টাকা।