আপনারা পৌরকর পরিশোধ করুন, আমি হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব ॥ মেয়র মিজান
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ পৌরসভা শহরকে সুন্দর করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ উদ্যোগকে আরো বেগবান করতে সময়মতো পৌরকর পরিশোধ করা প্রয়োজন। করমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ এসব কথা বলেন। রবিবার সকালে হবিগঞ্জ পৌরসভায় আয়োজিত দুইদিনব্যাপী পানির বিল ও পৌরকর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। জেলা প্রশাসক বলেন, হবিগঞ্জে পুরাতন খোয়াই নদীর জায়গা অবৈধ দখলদারমুক্তকরণের যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত থাকবে। পুরাতন খোয়াই নদীর পুরো জায়গা উদ্ধার করা হবে। খোয়াই নদীকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জকে নান্দনিক করে গড়ে তোলার জন্য ২ হাজার কোটি টাকার যে প্রকল্প তা নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। এখন শুধু একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা সেই স্বপ্ন পুরণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। কিছু ভূমিদস্যূ আছেন যারা সুযোগ পেলেই অবৈধভাবে জায়গা দখল করেন। এ ধরনের মনমানসিকতা হতে বের হয়ে আসতে হবে। ইতোমধ্যে পৌরসভার ডাম্পিং স্পট বাস্তবায়নের জন্য কাজ হচ্ছে। ডাম্পিং স্পট বাস্তবায়ন হলে পরিবেশের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেদিক বিবেচনা করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে।
পানির বিল ও করমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মিজানুর রহমান মিজান পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন- আপনারা পৌরকর পরিশোধ করুন। আমি হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। ইতোমধ্যে হবিগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ হতে দিনে রাতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ পরিচালনা হচ্ছে। শীঘ্রই শ্মশানঘাট রোডে নতুন পানি শোধনাগার প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। এ প্রকল্প চালু হওয়ার পর ৩০ বছরেও পৌরবাসীর মধ্যে পানি সরবরাহের কোন সমস্যা হবে না। করমেলার প্রথম দিনেই পৌর করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন মেয়র মিজান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ নূরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর শেখ মোঃ উম্মেদ আলী শামীম ও পৌরসচিব মোঃ ফয়েজ আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ জুনায়েদ মিয়া, গৌতম কুমার রায়, শেখ নূর হোসেন, মোঃ আলমগীর, অর্পনা পাল, কর আদায়কারী ইসরাত জাহান নীলাসহ পৌরসভা কর্মকর্তাবৃন্দ। পৌরভবনে আয়োজিত রবিবার ও সোমবার দু’দিনব্যাপী পানির বিল ও পৌর কর মেলায় প্রতিদিন সকাল হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কর গ্রহণ করা হবে। নাগরিকগণ ১০ শতাংশ রিবেটে পৌরকর দিতে পারবেন। করদাতাগণকে সম্মাননা সনদ ও গাছের চারা উপহার দেয়া হয়। পানির বিল ও পৌরকর মেলার প্রথম দিনে আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ২১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি হোল্ডিং মিলিয়ে পৌরকর আদায় হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। পানির বিল আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। প্রথম দিনে প্রায় একহাজার করদাতা পৌরকর প্রদান করেছেন।