রাত পোহালেই হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচন
এসএম সুরুজ আলী ॥ আগামীকাল সোমবার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মিজানুর রহমান মিজান (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরস্কায়স্থ টিটু (নারিকেল গাছ), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান (জগ), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মর্তুজ আলী (চামচ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ইসলাম তরফদার তনু (মোবাইল ফোন)। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী গতকাল মধ্যরাত থেকে প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। প্রচারণার শেষ দিনে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কের প্রার্থীরা তাদের সমর্থকদের নিয়ে বিশাল গণসংযোগ করেছেন। বিভিন্ন স্থানে মধ্যরাত পর্যন্ত সভা করেছেন প্রার্থীরা। অপরদিকে প্রার্থীদের জয়ী করতে কয়েকদিন ধরে তাদের স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্য, আত্মীয় স্বজনরাও প্রচারণা ব্যস্ত সময় পার করেন। আজ সকালে কেন্দ্রগুলোতে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিস, পুলিশ, আনসারসহ ভোট গ্রহনের ইলেকট্রনিক মেশিন সকল সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য তারা সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার খোরশেদ আলম জানান, হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে এবার ৪৭ হাজার ৮২০ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৩৮ জন ও মহিলা ২৩ হাজার ৯৮২ জন। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২০টি, ভোট কক্ষ ১৪১টি। প্রত্যেক কেন্দ্রে ১ জন প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ১৪১ জন ও পোলিং অফিসার ২৮২ জন দায়িত্ব পালন করবেন। আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, যেহেতু জেলায় আর কোন নির্বাচন নেই। শুধু এই পৌরসভার উপ-নির্বাচন। এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করবো। নির্বাচনে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোর্স থাকবে। নির্বাচনে আমাদের মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আমাদের সিনিয়র অফিসারগণ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ফজলুল জাহিদ পাভেল নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। এতে বলা হয় হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে ভোট গ্রহণের জন্য ২৩ জুন মধ্যরাত থেকে ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় বেবিট্যাক্সি, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পু, লঞ্চ, স্পীডবোট, ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া ২২ জুন দিবাগত মধ্যরাত থেকে ভোট গ্রহণের পরবর্তী দিন ২৫ জুন দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় মোটর সাইকেল চলাচল করতে পারবে না। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ওই সময়কালে মোটর সাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। তবে রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, পর্যবেক্ষক, দেশী বিদেশী সাংবাদিক, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুত গ্যাস ডাক টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কাজে ব্যবহারের জন্য এবং মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।