নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে এক শিক্ষকের আচরণ নিয়ে তোলপাড় চলছে। স্কুলের বেতন দেরিতে দেয়ায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের আওতাধীন কলেজ স্কুলে।
সরেজমিন জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের জন্তরী গ্রামের সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রী দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় স্কুলের ৪ মাসের বেতন বকেয়া হয়। পরে চলতি মাসের ১৫ জুন ২ মাসের বেতন স্কুলে নিয়ে গেলে শিক্ষক রাজিব চৌধুরী উত্তেজিত হয়ে ওই ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করেন। বেত্রাঘাতে ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। শুধু এই ছাত্রীকে মারপিট করেই থেমে থাকেননি শিক্ষক রাজিব চৌধুরী। স্কুলে নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অষ্টম শ্রেণীর আরেক ছাত্র মোঃ আলী জানায়, এ বিষয় স্যারের নতুন কিছু না। একটু দেরিতে বেতন দিলেই স্যার ক্ষিপ্ত হন সব সময়। ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বাবা-মা নিয়ে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন স্যার। সে আরও জানায়, পরিবারের কেউ যদি প্রবাসী হন তাহলে তাদের নিয়ে অশোভন কথা বলেন আমাদের স্যার। রাজিব চৌধুরীর এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ স্কুলের অভিভাবকরা। স্কুলে বেতনের জন্য ছাত্রছাত্রীর সাথে অশোভন আচরণ বেত্রাঘাত ও মানসিক শারীরিক নির্যাতন প্রবাসীদের নিয়ে তার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য নবীগঞ্জের সুশীল সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এদিকে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে বেত্রাঘাত মানসিক ও শারীরকিভাবে নির্যাতনে স্কুলের সভাপতি নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ছাত্রীর বড় ভাই চন্দন বৈদ্য।
এ ব্যাপারে শিক্ষক রাজিব চৌধুরী বলেন, এ অভিযোগ মিথ্যা। স্কুলের সভাপতি নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, বেতনের জন্য ছাত্রছাত্রীর উপর প্রহার করা এক ধরনের বড় অপরাধ। বকেয়া বেতনের জন্য একজন শিক্ষক এমন কাজ করতে পারেন না। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।