হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি ও ৭ পুলিশ সদস্যসহ আহত ২০ ॥ শ্রমিকদের অভিযোগ মহাসড়কে চলন্ত সিএনজি অটোরিকশায় লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করছিল হাইওয়ে পুলিশ ॥ মিরপুর থেকে আটক করে নেয়া দুটি সিএনজি ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষ বাধে

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে হাইওয়ে পুলিশ ও সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হাইওয়ে থানার ওসসিহ-সহ উভয়পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মিরপুর বাজার বিশ্বরোড পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি লিয়াকত হোসেন, এসআই মাসুক মিয়া, এএসআই হাবিবুর রহমান, কনস্টেবল মো: রিফাত, আমিনুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নিশান কান্ত দেব। তাদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় শ্রমিকদের অভিযোগ, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলাচলে বেশ কিছুদিন ধরে চলন্ত গাড়ীতে লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে হামলা করে গাড়ি ভাংচুর করে বাঁধা দিয়ে আসছিল হাইওয়ে থানা পুলিশ। এরই ধারাবাহকিতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুর বাজারের বিশ্বরোড পয়েন্টে দুটি সিএনজি অটোরিকশা লাঠি দিয়ে ভাংচুর করে আটক করে হাইওয়ে থানা পুলিশ। সিএনজি অটোরিকশা ভাংচুর করে আটক করার খবরটি মুহূর্তেই স্থানীয় শ্রমিকদের মধ্যে জানাজানি হলে শ্রমিকরা জড়ো হয়ে পুলিশের কাছ থেকে সিএনজি অটোরিকশা ছাড়িয়ে আনতে গেলে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৭ পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ২০ জন আহত হন। একপর্যায়ে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বাহুবল অটোরিকশা শ্রমিক ইউনয়িনের সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, গাড়ি ভাংচুর করে সিএনজি অটোরিকশা আটক করে থাকলেও পুলিশের ওপর হামলা করে শ্রমিকরা মারাত্মক অন্যায় করেছে। এর জবাব দেয়ার মতো ভাষা আমার জানা নেই।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি লিয়াকত হোসেনকে বার বার (০১৭৩৩ ২৩১৯১৭) ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।