গতকাল হবিগঞ্জ শহর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন ¯স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় “হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে দিনারপুর জনতার বাজারে গরুরহাট বসতে না দেওয়ায় ডিসি ও ইউএনওকে আদালত অবমাননার নোটিশ” বিজ্ঞপ্তিটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জনাব মো. আমিনুল ইসলাম, এমএসএস এলএলবি এডভোকেট, সুপ্রীম কোর্ট (অ্যাপিলেট ডিভিশন) লিখেছেন- “আমার মক্কেল ২০২৫ সালের ৩০২৬নং রিট পিটিশন দাখিল করে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কত..র্.ক ০৭.০১.২০২৫ তারিখের ০৫.৪৬.৩৬০০.০১৮.০২.০০৬.২১- ৪৬ স্মারকে জারি করা অফিস আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন এবং শুনানির পর, মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ রুল জারি করেছেন যে, কেন বিবাদীদের পদক্ষেপ, অর্থাৎ দিনারপুর জনতার বাজার (গবাদি পশুর হাট) তার ¯’ান থেকে অপসারণের নির্দেশকে অবৈধ, আইনগত কত..র্.ত্বহীন এবং কোন আইনি প্রভাব নেই বলে ঘোষণা করা হবে না। উক্ত রুলের শুনানিতে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ স্পষ্টভাবে পক্ষগুলিকে (আবেদনকারী এবং বিবাদী উভয়কেই) জনতার বাজার পরিচালনা করার জন্য ০৩.০৩.২০২৫ তারিখ থেকে ৩ (তিন) মাসের ¯ি’তাব¯’া (ঝঃধঃঁং য়ঁড়) বজায় রাখার নির্দেশ দেন এবং এরপর, মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ ২৪.০৬.২০২৫ তারিখ থেকে আরও ৬ (ছয়) মাসের জন্য ¯ি’তাব¯’া বর্ধিত করার নির্দেশ দেন। দিনারপুর জনতার বাজার (গবাদি পশুর হাট) দখল এবং অব¯’ানের ক্ষেত্রে ¯ি’তাব¯’ার আদেশ বলবৎ রয়েছে এবং তাই প্রতি শনিবার দিনারপুর জনতার বাজার যথা¯’ানে যথারীতি পশুর হাট বসতে বাধা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। …”
আমরা বিজ্ঞ আইনজীবীর রিট পিটিশনটির কপি সংগ্রহ করে দেখতে পেলাম- এতে তিনি উল্লেখ করেছেন- কেন বিবাদী নং ৫ কে (জেলা প্রশাসক, হবিগঞ্জ) দিনারপুর জনতার বাজার, যার মধ্যে পশুর হাটও রয়েছে, বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, যা কিনা দাগ নং ৪৬৭, ৪৫০, ৪৫৩ এবং ৪২৮ জেএলনং ২০২ অধীনে বাজারের পরিধির মধ্যে অবস্থিত। মৌজা-গজনাইপুর, উপজেলা-নবীগঞ্জ, জেলা হবিগঞ্জের অধীনে ০.১৫০০ একর জমির পরিমাপ এবং কেন একটি অফিস আদেশ জারি করা উচিত নয় যেখানে বিবাদী নং ০৭ কে (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীগঞ্জ) বাজারটি অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, যেমনটি ০৭.০১.২০২৫ তারিখের স্মারক নং ০৫.৪৬.৩৬০০.০১৮.০২.০০৬.২১-৪৬ (সংযোজনী-ই) অনুসারে জারি করা হয়েছে।
৩০২৬/২০২৫ নং রিট পিটিশনে বর্ণিত এসএ গজনাইপুর মৌজার দাগ নং ৪৬৭, ৪৫০, ৪৫৩ এবং ৪২৮ যার আরএস দাগ ৫৫৭ খতিয়ান ১ শ্রেণী রাস্তা হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের নামে রেকর্ড বিদ্যমান। সরেজমিনে ৫৫৭ দাগটি গজনাইপুর জামে মসজিদ থেকে মেলার বাজার পর্যন্ত গেছে। এখানে আমরা বলতে চাই বিজ্ঞ আইনজীবী জনাব মো. আমিনুল ইসলাম যে কয়টি দাগ নম্বর উল্লেখ করে জনতার বাজারের জায়গা বলে দাবি করেছেন সেই দাগগুলোর জায়গা জনতার বাজারের নয়, প্রক…তপক্ষে আমাদের মেলার বাজারের জায়গা। তাই আমরা বিজ্ঞ আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম এর রিট আবেদনে উল্লেখিত দাগ নম্বরের জায়গায়ই অর্থাৎ মেলার বাজারে পশুর হাট বসানোর প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহণের জন্য সরকার বাহাদুরের কাছে আবেদন করছি।
গজনাইপুর এলাকাবাসী