
স্টাফ রিপোর্টার ।। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন ছোট ভাইয়ের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক স্কুলশিক্ষক। শুধু নির্যাতন নয়, ওই শিক্ষককে প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছেন তার ভাই। বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামের বাসিন্দা, হাজী করিম হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুস সালাম।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন- শিক্ষকতা পেশা করে আমি আমার পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। স্বজনগ্রাম মৌজার সাবেক দাগ নং-২৪৭৮হাল দাগ নং-৩১৭৫, জে এল নং-৫০, খতিয়ান নং-৬২৪ মুয়াজি ২৯ চারা রকম ভূমি ও দাগ নং- ২৪৮০ এর ২২ শতক ভূমির ক্রয় সূত্রে মালিক আমি। বর্তমানে উক্ত ভূমির দলিল আমার নামে এবং ২০২৫ সাল পর্যন্ত খাজনা দিয়ে আসছি। কিš‘ আমার আপন ছোট ভাই শহিদুর রহমান ২৪৭৩ সাবেক দাগ এর ৩০ শতক পুকুর হাল দাগ নং-৩১৭০ জোর পূর্বক দখল করার জন্য পায়তারা করছে। অথচ তার উপযুক্ত কোন কাগজপত্র নেই। যদি আমার ভাই শহিদুল উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে আমি ওই জমি তাকে স্বে”ছায় ছেড়ে দেব। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন-২০২৪ সালের ১৯ জুলাই আমার ছোট ভাই শহিদুর এবং আপন ভাতিজারা আমার জায়গা দখল করতে যায়। এ সময় আমি বাধা দিলে তারা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আমার ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে আমার পায়ে অপারেশন করা হয়। মাসখানেক চিকিৎসা নিয়ে আমি বাড়ি আসি। পরবর্তীতে আদালতে আমার ভাইসহ ৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করি। মামলার পর লাখাই ইউপি চেয়ারম্যান এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিসের আয়োজন করেন। শালিসে রায় প্রদান করা হয় যে বিরোধপূর্ণ জায়গার প্রক…ত মালিক আমি। কিš‘ আমার ভাই শালিসের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আবারও জায়গা দখলে গেলে আমিসহ আমার পরিবার বাধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাই দ্বিতীয় দফায় আবারও আমার উপর হামলা চালায়। আমার জায়গা নিয়ে তার সাথে ৩ দফা শালিস বৈঠক হলেও সে কোন শালিসের রায় মানেনি। বরং আমাকে হত্যা করার জন্য ৪ বার আমার উপর হামলা করেছে। কিš‘ মহান আল্লাহ তালার অশেষ মেহেরবাণীতে আমি বেঁচে আছি। পরবর্তীতে আমি নিরুপায় হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালত হবিগঞ্জ বাদী হয়ে ৭ ধারাসহ সর্ব মোট ২টি মামলা তার বিরুদ্ধে করেছি। তারপরও শহিদুর রহমানের কাছ থেকে রক্ষা পাই পাইনি আমি। এছাড়াও ৬ জন আসামি করে আরেকটি মিস মামলা করি। মামলার নং- ৫৪৮/২৫ ইং। এ মামলায় ১ নং আসামী ছফি রহমান (৪০)। আমি একজন শিক্ষক মানুষ, সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। কিš‘ শহিদুল গং আমাকে নানা ভাবে নির্যাতন করছেন এবং হত্যার চেষ্টা করছেন। তারা যে কোন সময় আমাকে হত্যা করতে পারেন। কোন দুর্ঘটনাজনিত কারণে আমার মৃত্যু হলে তার জন্য দায়ী হবেন শহিদুর গং। শহিদুর গংদের কাছ থেকে রক্ষার জন্য সাংবাদিকসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন শিক্ষক আব্দুস সালাম।