সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এ তিন বিষয়কে সামনে রেখে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমরা সেই মূলনীতির কাক্সিক্ষত প্রতিফলন ঘটাতে পারিনি। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের মানুষ নানা মতবাদ মতাদর্শ দেখেছে। এদিক থেকে প্রতারিত হয়ে ওদিকে গিয়েছে। আবার ওদিক থেকে আশাহত হয়ে এদিকে এসেছে। কিন্তু বারবার তারা আশাহতই হয়েছে। ২০২৪ এর ঐতিহাসিক ছাত্র জনতার নজীরবিহীন অভ্যুত্থানের পর দেশ বিনির্মাণের একটি সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। আমরা সকল দেশপ্রেমী দল ও জনতা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারি, তবে দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নেয়া সম্ভব। জাতির রাহবার হযরত ওলামায়ে কেরামকে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেল ৩ টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখার ওলামা ও সুধী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন- জনগণের পরিপূর্ণ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই। যা গত ৫৩ বছরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে বার-বার প্রমাণিত হয়েছে। সেজন্য আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতিতে আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা লোকমান ছাদীর সভাপতিত্বে এবং আলহাজ্ব শামছুল হুদা, মুফতি মহসিন আহমদ ও মাওলানা আবু মুসা সাদ এর যৌথ পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান এলএলবি, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মঈনুদ্দীন খান তানভীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মহিবউদ্দিন আহমদ সোহেল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা কাজী মখলিছুর রহমান, খেলাফত মজলিস হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সারওয়ার রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নোমান আহমদ সাদিক, শায়খুল হাদীস মুফতি মুহিবর রহমান চৌধুরী, বানিয়াচং সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদাল হোসেন খান, মমতাজুল উলূম সীমেরগাঁও মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা কারী আঃ হালিম, তাজবীদুল কুরআন মাদ্রাসা সিকান্দারপুরের মুহতামিম মাওলানা নজির আহমদ চৌধুরী, প্রখ্যাত ওয়ায়েজ মুফতি নাসির উদ্দীন আনসারী, প্রখ্যাত ওয়ায়েজ মাওলানা শুয়াইব আহমদ আশরাফী, যুব উলামা ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা জাবের আল হুদা চৌধুরী, আহলে সুন্নাত ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মইনুল ইসলাম হুমায়ুন চৌধুরী, সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল্লাহ সফী, মাওলানা হাদিসুর রহমান রুহানি, মাওলানা ইউসুফ আহমদ বানিয়াচঙ্গী, মাওলানা ছাব্বির আহমদ চৌধুরী সোহাগ, মুফতি লোকমান খান, মাওলানা মহিবুর রহমান, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা শাহিদুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা ইদ্রিস আহমদ প্রমূখ।