স্টাফ রিপোর্টার ॥ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জ শহরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট ও আশপাশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিমিরপুর গ্রামের খসরু মিয়ার সাথে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আশাহীদ আলী আশার কথাকাটাকাটি থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আশার পক্ষ নিয়ে আনমনু গ্রামের যুবলীগ নেতা কাজল ও বাদল গং খসরু মিয়ার উপর হামলা চালায়। পরে তারা তিমিরপুর গ্রামের দুই শিক্ষার্থীকে নবীগঞ্জ শহরের আনমনু পয়েন্ট থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তিমিরপুর গ্রামের লোকজন বাজারে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজনের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে শহরের জুনু মিয়ার দোকানসহ অন্তত ৪-৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় কয়েকটি অটোরিক্সা ও মিশুকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং গাড়ির ব্যাটারী চুরি করে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে।